বরিশালে ‘ককটেল’ উদ্ধারের সময় বিস্ফোরণ, দুই পুলিশসহ আহত ৩

বরিশালের গৌরনদীতে টয়লেটে পড়ে থাকা ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধারের সময় বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে একজন এসআই ও কনস্টেবলসহ তিনজন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গৌরনদী পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বড় কসবার হাওলাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।

গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজাহারুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন, গৌরনদী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন, ওয়াচার কনস্টেবল মো. মিজান ও বাড়ির মালিক রাজু হাওলাদারের ছেলে মাসুম হাওলাদার। এর মধ্যে মিজান ও মাসুমকে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে এবং এসআই কামালকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার বিপুল হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খবর পাই বড় কসবা ইসলামিয়া মিশনের পিছনে একটি বাড়ির টয়লেটে বাজারের ব্যাগে ককটেলসদৃশ বস্তু পড়ে আছে। বাড়ির মালিক বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশের উপস্থিতিতে ব্যাগটি বের করার সময় সেটি বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দুই পুলিশসহ তিনজন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল ও বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘মাসুম হাওলাদারের ঘর থেকে ১৫/২০ গজ দূরত্বে একটি বাথরুম রয়েছে। বাড়ির লোকজন সকালে সেটিতে তালা দেওয়া দেখতে পান। পরে তালা ভেঙে টয়লেটের ভেতরে একটি বাজারের ব্যাগ দেখতে পান। এর মধ্যে লাল টেপে প্যাঁচানো তিনটি ককটেলসদৃশ বস্তু ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘তখন তারা ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পুলিশ গিয়ে সেগুলো উদ্ধারের সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে এসআই কামাল, কনস্টেবল মিজান ও বাড়ির মালিকের ছেলে মাসুম আহত হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

তবে ককটেলসদৃশ তিনটি বস্তুর মধ্যে কয়টির বিস্ফোরণ হয়েছে তাৎক্ষণিক তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।