খুলনায় ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’
খুলনা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৩৮ পিএম
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:১১ পিএম
প্রতীকী ছবি
খুলনার পাইকগাছায় চোখে-মুখে সুপার গ্লু (আঠা) লাগিয়ে ও হাত-পা বেঁধে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে এখনও মামলা হয়নি। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ওই নারীর স্বামী জানিয়েছেন, গৃহবধূকে নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবস্থান করায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা সম্ভব হয়নি। তবে আজ রাতের মধ্যেই মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই গৃহবধূর দুপুরে জ্ঞান ফিরেছে। তবে তিনি ভালোভাবে কথা বলতে পারছেন না। পুরোপুরি সুস্থ হতে কিছু দিন সময় লাগবে। এসব তথ্য জানিয়েছেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মাধবেন্দু সরকার।
খুলনা মেডিকেল কলেজ থেকে বিকালে গৃহবধূর স্বামী জানান, তার স্ত্রীকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। আজ দুপুরে তার জ্ঞান ফিরেছে। তবে সে এখনও ঠিকভাবে কথা বলতে পারছে না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, স্বাভাবিক হতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে।
তিনি আরও জানান, স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ব্যস্ত থাকায় এখনও থানায় কোনো অভিযোগ বা মামলা করতে পারেননি। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আজ রাতের মধ্যেই তিনি মামলা করবেন বলে জানান।
সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মাধবেন্দু সরকার বলেন, ‘পাইকগাছা থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ওই গৃহবধূর আজ দুপুরে জ্ঞান ফিরেছে। এখন তিনি মোটামুটি স্বাভাবিক।’
ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওই নারীর চোখে আঠা জাতীয় কিছু দেওয়া হয়েছিল। শরীরের গোপন স্থানে দুয়েকটি ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। তবে ধর্ষণ হয়েছে কি-না, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারছি না।’
পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘উপজেলার রাড়ুলিতে গৃহবধূকে নির্যাতন ও স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুটের ঘটনায় এখনও কেউ মামলা করেনি। পুলিশের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে ওই নারীর স্বামী জানিয়েছেন, আজ রাতের মধ্যে মামলা করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশের উচ্চপর্যায় থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের এখনও পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অপরাধীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
রবিবার পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলি গ্রামে রাত ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে ওই গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও বাড়ি থেকে মালামাল লুটের অভিযোগ ওঠে। সোমবার সকাল ৯টার দিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।