প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৩৫ পিএম
কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন যুব সম্প্রদায়, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, উন্নয়ন পেশাজীবী, তরুণদের নিয়ে কাজ করে এমন গোষ্ঠী, শিক্ষাবিদ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞরা। প্রবা ফটো
ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ ও ইয়ুথ পলিসি ফোরামের (ওয়াইপিএফ) অংশীদারিত্বে এবং বাংলাদেশ সরকারের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের (ডিওয়াইডি) সহযোগিতায় জাতীয় যুবনীতি ও কর্মপরিকল্পনার উপর বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের একটি হোটেলে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে মনোনীত যুব সম্প্রদায়, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, উন্নয়ন পেশাজীবী, তরুণদের নিয়ে কাজ করে এমন গোষ্ঠী, শিক্ষাবিদ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞসহ ৬০ জন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। যেখানে তাদের বর্তমান যুবনীতি সম্পর্কে মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করা হয়।
বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে প্রয়োজনীয় দক্ষতায় দক্ষ করে তুলতে ও তাদের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতে পূর্ণ বিকাশে অংশীদার করতে সরকারের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সঙ্গে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) স্বাক্ষর করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল।
এর অংশ হিসেবে, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ও ইয়ুথ পলিসি ফোরামের (ওয়াইপিএফ) অংশীদারিত্বে আটটি বিভাগীয় কর্মশালা (জাতীয় যুবনীতি ও কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক বিভাগীয় কর্মশালা) আয়োজন করবে ব্রিটিশ কাউন্সিল। প্রতিটি বিভাগীয় কর্মশালা থেকে পাওয়া তৃণমূলের তরুণ, তরুণদের সংগঠন ও অন্যান্য অংশীদারদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত কর্মশালা শেষে প্রতিবেদন হিসেবে তুলে ধরা হবে। জাতীয় যুবনীতি ও সংশ্লিষ্ট কর্মপরিকল্পনার সঙ্গে তরুণদের আকাঙ্ক্ষা ও অগ্রাধিকারের সমন্বয় হচ্ছে কি না তা বোঝা এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। জাতীয় যুবনীতি ও কর্মপরিকল্পনার সুপারশিগুলো তুলে ধরার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ কাউন্সিল এই প্রক্রিয়ার প্রতিটি পর্যায়ে সরকার, উন্নয়ন অনুশীলনকারী, তারুণ্য সংগঠন, শিক্ষাবিদ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সুশীল সমাজসহ অন্যান্য সংগঠনগুলোকে জড়িত করতে চায়।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) এম এ আখের বলেন, ‘সিলেট বিভাগের অধীনে সকল জেলা থেকে আগত যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, তরুণ উদ্যোক্তা, যুব সংগঠকসহ অংশীজনদের অংশগ্রহণে জাতীয় যুবনীতি ও কর্মপরিকল্পনার ওপর আটটি বিভাগীয় কর্মশালার প্রথমটি আয়োজন করার জন্য আমি ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। ২০১৭ সালে প্রণীত জাতীয় যুবনীতি প্রতি পাঁচ বছর অন্তর পর্যালোচনা করা হয়। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের ধারণা ও পরামর্শ মন্ত্রিসভা/যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে, যেন তারা জাতীয় যুবনীতি ২০১৭ পর্যালোচনার ক্ষেত্রে এ পরামর্শ বিবেচনা করেন।’
ব্রিটিশ কাউন্সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর টম মিশসা বলেন, ‘তরুণ জনগোষ্ঠী ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে তরুণদের প্রকৃত সম্ভাবনা উন্মোচন ও বাস্তবায়নে সহায়তা করতে ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জাতীয় যুবনীতি সম্পর্কে তরুণরা কী ভাবছে এবং চাচ্ছে তা জানার ক্ষেত্রে এমন গোলটেবিল বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আটটি বিভাগীয় কর্মশালা থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ফলাফলগুলো একত্রিত করতে ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে একদিনের গোলটেবিল বৈঠক আয়োজিত হবে। তরুণদের উন্নয়নে একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিই হচ্ছে এই কর্মশালার মূল লক্ষ্য।’