হাত-পা ও মুখ বেঁধে শিশু লামিয়াকে হত্যা, মা আয়েশা ফের দুই দিনের রিমান্ডে

স্কচটেপ দিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেনীর পরশুরামে শিশু উম্মে সালমা লামিয়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মা আয়েশা বেগমকে আরও দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল কাশেম আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুজ জোহরা মুনা দুই দিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে আয়েশাকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন খান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে ঘটনার নয় দিন পরও হত্যার পুরো রহস্য উদ্‌ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। হত্যা পরিকল্পনায় মা প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে পরিকল্পনাকারী হিসেবে স্বীকারোক্তি দিলেও লামিয়ার মূল হত্যাকারীকে এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আর কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

এর আগে পুলিশ লামিয়ার মা আয়েশাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাজির করলে আদালত কারাগারে পাঠান। লামিয়ার বাবা নুরুন নবী বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে পরশুরাম থানায় হত্যা মামলা করার পর সে রাতেই আয়েশা বেগম ও লামিয়ার সৎ মা রেহানা আক্তারকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার সকালে আয়েশাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সৎ মা রেহানাকে এজাহারকারীর জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

পরশুরাম পৌর এলাকার বাঁশপদুয়া গ্রামে মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে হেলমেট পরা দুই যুবক মো. নুরুন নবীর ভাড়া বাসায় গিয়ে নিজেদের পল্লী বিদ্যুতের কর্মী পরিচয়ে দরজা খুলতে বলেন। এ সময় তার দুই শিশু সন্তান দরজা খুলে দিলে দুই যুবক ঘরে ঢুকে শিশু লামিয়াকে স্কচটেপ দিয়ে হাত-মুখ-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করে। লামিয়ার বড় বোন নিহা একজনের হাত কামড়ে দিয়ে পাশের কক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করে নিজেকে রক্ষা করে। লামিয়াকে হত্যার পর সন্দেহভাজন দুই যুবক চলে গেলে নিহা দৌড়ে পাশের বাড়ি গিয়ে আশ্রয় নেয়। সেখানে নিহা অজ্ঞান হয়ে গেলে স্থানীয়রা তাকে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।