চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৩২ পিএম
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৪৩ পিএম
চট্টগ্রামে অমর একুশে বইমেলায় শিশু উৎসবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম। প্রবা ফটো
পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রাসঙ্গিক সব ক্ষেত্রে শিশুর অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করা একান্ত আবশ্যক বলে মনে করেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘শিশুর সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা ও অধিকার সংরক্ষণের মাধ্যমে একটি সৎ, দেশপ্রেমিক ও কর্মক্ষম ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার যত্নশীল ও সক্রিয়।’
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) আয়োজিত সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদ ও নাগরিক সমাজের সহযোগিতায় অমর একুশে বইমেলা মঞ্চে শিশু উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘উন্নত চরিত্র এবং সুগঠিত বিকাশপ্রাপ্ত শিশুর সমন্বয়ে একটি জাতি গড়ে তোলা মূল পন্থা। তাই সোনার বাংলা গড়তে শিশুদের গড়তে হবে। শিশুরাই জাতি গঠনের মূল ভিত্তি। একটি জাতির উন্নতি ও সমৃদ্ধির বীজ সুপ্ত অবস্থায় লুকায়িত থাকে শিশুর মধ্যেই। শিশু জন্ম নেওয়া মানে যে শুধু সেই শিশুটার মধ্যে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে এমনটা কিন্তু নয়, বরং একটি জাতির উন্নতির সঞ্চার হয় সুষ্ঠু পরিবেশে বিকশিত হওয়া সেই শিশুর মাধ্যমে।’
স্বাধীনতার পর সুখী, সমৃদ্ধ, সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব ক্ষেত্রে সব শিশুকে পূর্ণ মর্যাদাবান মানুষ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন উল্লেখ করে পেয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘শিশু এবং মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাসে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও সাফল্য অর্জিত হয়েছে। শিশু মৃত্যুহার হ্রাসে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্যের জন্য জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুরস্কৃত করেছেন।’
এটিএম পেয়ারুল ইসলাম দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘বর্তমান প্রজন্ম বেশ কিছু আসক্তিতে অবগাহণ করে আছে। যা তাদের মেধা ও মননকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। সৃষ্টিশীলতাকে বিনাশ করে তাদের অন্ধকার এক জগতে টেনে নিচ্ছে।’ সেই আসক্তি আর অন্ধকার থেকে তাদের ফিরিয়ে আনতে তিনি পরিবারসহ সমাজের সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শিশু উৎসবের উদ্বোধক চট্টগ্রাম মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সচিব প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র নাথ বলেন, বই পড়লে জ্ঞানের অধিকারী হওয়া যায়। শিশুদের অধিক জ্ঞানী করতে বাবা-মা ও অভিভাবককে বই পড়ার প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
শিশু উৎসবে শিশু সাহিত্যিক ও নাট্যজন অধ্যাপক সনজীব বড়ুয়ার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন অমর একুশে বই মেলা কমিটির আহ্বায়ক ড. নিছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি নাজিম উদ্দীন শ্যামল ও কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল।
আলোচনা সভা শেষে সঙ্গীত পরিবেশন করেন সুর ছন্দ সংগীত একাডেমি, চ্যানেল আই শিল্পী প্রিয়া ভৌমিক, বেতার ও টিভি শিল্পী জাহেদ হোসেন, নুসরাত জাহান রিনী এবং নিশা চক্রবর্তী। নৃত্য পরিবেশন করেন ঘুংঘুর নৃত্য কলা একাডেমি এবং নৃত্যম একাডেমি।