উজিরপুর (বরিশাল) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:২৩ এএম
পরিবারের সদস্যদের সাথে আলম নূর। প্রবা ফটো
পুলিশের সহযোগিতায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তি এক যুগ পর পরিবারের কাছে ফিরতে পেরেছেন। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন বরিশালের উজিরপুর থানার ওসি মো. জাফর আহমেদ। ওই ব্যক্তি হলেন সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত ফয়জুর রহমানের ছেলে আলম নূর।
ওসি জাফর আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৪টার দিকে সাতলা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন আলম নূর। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আলম নূরকে থানায় আসে। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেননি তিনি। ঠিকমতো নামও বলতে পারেননি। তার ভাষা সিলেট অঞ্চলের। তবে তিনি ‘ছাতক’ শব্দটি বলছিলেন। তখন ছাতক থানায় ছবিসহ সন্ধান চেয়ে বার্তা পাঠানো হয়।
ওসি বলেন, ছাতক থানা তার পরিচয় শনাক্ত করে স্বজনদের খবর দেয়। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে আলম নূরের চাচাত ভাই মো. এখলাছ, মো. আজাদ, ভগ্নিপতি মো. ফজলুর রহমান, ভাগিনা মো. আবুল হাসান ও ভাতিজা মো. হাবিবুর রহমান থানায় আসেন।
ওসি জানান, আলম নূরের কিশোরী মেয়ে ভিডিও কলের মাধ্যমে তার বাবার সঙ্গে কথা বলেছেন। দীর্ঘ ১২ বছর পর বাবাকে দেখতে পেয়ে আবেগাপ্লুত মেয়ে সনিয়া কান্নায় ভেঙে পড়েন। সনিয়ার বরাতে ওসি বলেন, সনিয়ার আট বছর বয়সের সময় তার বাবা হারিয়ে যান। তার মা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আয়ার কাজ করেন। তার বাবা গৃহস্থালির কাজ করতেন। ১২ বছর আগে হঠাৎ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে লাপাত্তা হন আলম নূর।
ওসি আরও বলেন, আলম নূরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাকে থানার কনস্টেবল ইলিয়াস গোসল করিয়ে সেলুনে নিয়ে চুল-দাড়ি কাটিয়ে দিয়েছেন। পরে নতুন জামাকাপড় পরিয়ে তাকে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে আলম নূরকে নিয়ে ছাতকের উদ্দেশে রওনা হন স্বজনরা।