কেএম নজরুল ইসলাম, ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর)
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:২৯ এএম
ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের ডাকাতিয়া নদীর ওপর নির্মিত কাটাখালী সেতু। প্রবা ফটো
পলেস্তারা খসতে খসতে সেতু আর সেতু নেই যেন এখন মারণফাঁদ। এমন পরিস্থিতিতে যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে পুরো সেতুই। সংস্কারের অভাবে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঝুঁকিতে রয়েছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৪নং ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের ডাকাতিয়া নদীর ওপর নির্মিত কাটাখালী সেতুটি। কয়েক দশক আগে নির্মিত সেতু দিয়ে বর্তমানে ভারী পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকলেও প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় সেতুর উভয় পাড়ের ৫০ হাজার বাসিন্দাদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, সংস্কারের অভাবে কাটাখালী সেতুর বিভিন্ন জায়গায় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। সেতুর দুই পাশের রেলিং ভেঙে পড়েছে এবং নিচের অংশের পলেস্তারা খসে লোহার রড বেরিয়ে এসেছে। এমন অবস্থায় ভারী যানবাহন চলাচল কমে এলেও নদীর উভয় পারের কয়েক হাজার মানুষের চলাচল করতে হচ্ছে বাধ্য হয়েই। ভারী যান চলাচলে বিঘ্ন হওয়ায় ২০ কিলোমিটার দূরের অন্য সড়ক দিয়ে চলতে গিয়ে গুনতে হচ্ছে বাড়তি জ্বালানি খরচের টাকা। যাত্রীদের দিতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। দৈনন্দিন কাজে প্রতিদিন অন্তত ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র এই পথে সেতুটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে ছোট ছোট যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
এ পথের নিয়মিত অটোচালক মহসিন মিয়া এবং যাত্রী মানছুরা বেগম বলেন, সেতুর মাঝখানে পাটাতন ভেঙে সৃষ্টি হয়েছে বড় গর্তের, বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিয়েছে ফাটল। ছোট গাড়ি উঠলেও সেতুটি কাঁপে, গাড়ি চালাতে ভয় লাগে। তবু জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন সেতুটি পার হতে হয়। আমরা চাই এই সেতুটি ভেঙে এখানে একটি নতুন সেতু তৈরি করা হোক।
স্থানীয় বাসিন্দা ইসহাক বেপারী, আ. লতিফ, আলমগীরসহ কয়েকজন জানান, ৩০-৩৫ বছরের পুরাতন এ সেতুটির বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও নিরুপায় হয়ে এলাকাবাসীদের এর ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সেতুটিতে ভুলক্রমে ভারী কোনো যানবাহন চলাচলে যেকোনো সময় নদীর মধ্যে ভেঙে পড়তে পারে। তবে অনেকে ইতোপূর্বে কয়েকবার মাপজোখ নিলেও বাস্তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি।
উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবরার আহাম্মদ জানান, কাটাখালী সেতুর ভগ্নদশার কথা আমাদের জানা আছে। এখানে নতুন সেতু নির্মাণে টেন্ডার প্রক্রিয়া চলমান আছে। দ্রুত সময়ে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে নতুন নকশার ওপর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।