লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:১৫ পিএম
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৪৩ পিএম
মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরও সাফায়েতকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ তার পরিবারের। প্রবা ফটো
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় পুরুষ ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী ২৪ বছরের সাফায়েত লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইটের পোল এলাকার কাশেমের ছেলে।
তার অভিযোগ, হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মচারী রিফাত হোসেন কয়েকজনকে নিয়ে তাকে মারধর করেছেন।
সাফায়েতের পরিবার জানায়, তিন দিন আগে পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে বিষ পান করেন সাফায়েত। পরে তাকে সদর হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসাধীন সাফায়েত বলেন, শনিবার সকালে নাস্তা করতে তিনি হাসপাতালের বাইরে বের হন। নাস্তা করে হাসপাতালে ফিরে বেডে যেতে চাইলে হাসপাতালের কর্মচারী রিফাত তাকে বাধা দেন। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে রিফাত তাকে মারধর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগী দেখার সময় পুরুষ ওয়ার্ডের কলাপসিবল গেট আটকে দেওয়া হয়। ঠিক তখনোই সাফায়েত ভেতরে ঢুকতে চাইলে কর্মচারী রিফাত তাকে বাধা দেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। চিকিৎসক রোগী দেখে চলে যাওয়ার পর রিফাত তাকে ঢুকতে দেন। সাফায়েত বেডে গেলে ফের রিফাতের সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কিছুক্ষণ পর রিফাত কয়েকজনকে নিয়ে এসে তাকে মারধর করেন। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে বোন নেহার আক্তার, স্বজন মো. সুজন ও শ্রাবণ আহমেদও মারধরের শিকার হন।
সাফায়েতের বোন ববি আক্তার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা হাসাপাতালের আরএমওকে জানিয়েছি। আমরা উপযুক্ত বিচার চাই। এ ধরনের লোক হাসপাতালে থাকলে রোগী ও স্বজনরা ঝুঁকিতে থাকবে। চিকিৎসার পরিবর্তে রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়বে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রিফাতের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঘটনাটি দুঃখজনক উল্লেখ করে সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘রিফাতের আচরণ ঠিক ছিল না। সে আমাদের অস্থায়ী কর্মচারী। ঘটনার পর তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আমরা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেব। আর অসুস্থ সাফায়েতকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’