× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

১৫০০ কোটি টাকার সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প আটকে আছে জমির বিরোধে

আবু সালেহ মো. রায়হান, পঞ্চগড়

প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:২৩ এএম

আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:০৫ পিএম

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় জমি হস্তান্তর জটিলতায় আটকে আছে দেড় হাজার কোটি টাকার ৫০ মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের কাজ। প্রবা ফটো

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় জমি হস্তান্তর জটিলতায় আটকে আছে দেড় হাজার কোটি টাকার ৫০ মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের কাজ। প্রবা ফটো

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় জমি হস্তান্তর জটিলতায় আটকে আছে দেড় হাজার কোটি টাকার ৫০ মেগাওয়াট সোলার বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের কাজ। ২০১৭ সালে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করার জন্য এই প্রকল্পের কাজ হাতে নেয় বেসরকারি কোম্পানি ল্যান্ডকো। তারা জমি বুঝে না পাওয়ায় প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারছে না বলে জানিয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন, কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয়রা দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে কোম্পানির সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছে। একপক্ষ প্ল্যান্ট দ্রুত স্থাপনের দাবি করছে। অন্যপক্ষ জমি দখলের অভিযোগ এনে প্রকল্প না করার দাবি তুলেছে।

কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানায়, তেঁতুলিয়া উপজেলার শেখগছ এলাকায় পাথর উত্তোলনের পর অসমতল পতিত জমিতে ১৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রকল্প নেয় ল্যান্ডকো। ২০১৭ সালে জমি ক্রয় শুরু করে তারা। স্থানীয় জমি বন্দোবস্তকারীদের মাধ্যমে দুই বছরের মধ্যে প্রায় ২৭৬ একর জমি ক্রয় করেন তারা। প্রাথমিক কিছু যন্ত্রপাতিও স্থাপন করা হয়। কিন্তু কাগজে-কলমে ২৭৬ একর জমি কিনলেও কোম্পানিটি গত সাত বছরে দখল পেয়েছে মাত্র ৯০ একর। বাকি জমির দখল নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে সৃষ্টি হয় বিরোধ। গত ৫ ফেব্রুয়ারি কোম্পানি ক্রয়কৃত জমি দখল করতে গেলে জমির মালিকদের সঙ্গে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষের আশঙ্কায় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, কোম্পানি অবিক্রীত আবাদি জমির ফসল নষ্ট করে দখল করতে আসে। তাই এই বিরোধের সৃষ্টি। তারা আরও জানান, স্থানীয় জমি বন্দোবস্তকারীরা জমি ক্রয়ের সময় কোম্পানি ও জমির মালিকদের সঙ্গে প্রতারণা করে জমি ক্রয়-বিক্রয় সম্পাদন করেছেন। তারা প্রকৃত জমির মালিকদের কাছ থেকে জমি ক্রয় না করে ভুয়া জমির মালিক সাজিয়ে তাদের থেকে জমি ক্রয় করেছেন।

ল্যান্ডকোর স্থানীয় প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম জহির এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জোর করে জমি দখলের কথাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমরা ২৭৬ একর জমি কিনেছি। কাগজে-কলমে তাই আছে। সেই জমি তো আমাদের পেতে হবে। স্থানীয় বিক্রেতারা অনেকে এক জমি দুই থেকে তিনবার জমি বিক্রি করেছেন; আবার কোম্পানির কাছেও জমি বিক্রি করেছেন। অনেকে জাল দলিল, জাল খতিয়ান দেখিয়ে কোম্পানির কাছে জমি বিক্রির কথা বলে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন। আমরা তাদের কাছ থেকে সেই জমিগুলো চেয়েছি মাত্র। তিনি আরও বলেন, কোম্পানির সঙ্গে নানা ধরনের প্রতারণা করা হয়েছে। যারা জমি বিক্রি করেননি তাদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ নেই। বিরোধ তাদের সঙ্গে, যারা টাকা নিয়েও জমি বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। তিনি বলেন, আমরা পাওয়ার প্ল্যান্টে অল্প কিছু যন্ত্রাংশ এনে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছি। জমির জটিলতা কাটলে দ্রুত উৎপাদনে যেতে পারব।

প্রতারণা প্রসঙ্গে স্থানীয় স্কুলশিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘কোম্পানির কাছে আমার পরিবারও জমি বিক্রি করেছে। তারা যতটুকু কিনেছে আমরা ততটুকু জমি দিয়েছি। এখন আরও কিছু দলিল দেখিয়ে আমাদের অন্য জমি দখল করতে আসছে। শুধু আমি না, এ রকম অনেক লোকের জমি দখল করতে আসছে। আমরা চাই কোম্পানি আলোচনায় বসুক। প্রয়োজনে বিশ্লেষকের মাধ্যমে জমির কাগজ পর্যালোচনা করুক। তারপর দখল করুক। বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট হোক, এটা আমরাও চাই। তবে আমরা কোম্পানির সঙ্গে প্রতারণা করিনি। তারা জমি কেনার সময় যাদের ব্যবহার করেছে, তারাই তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।’

এ ঘটনায় উপজেলা ভূমি কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্থানীয় অধিবাসী ও কোম্পানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তারা রিপোর্ট দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব। তবে এর আগে কেউ জমি দখল বা অপ্রীতিকর কিছু করতে পারবে না।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা