× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বগুড়ায় হেঁটেই পাড়ি দিচ্ছে যমুনা নদী

বগুড়া অফিস

প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:০৬ পিএম

আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:০৬ পিএম

সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি কমে যাওয়ায় হেঁটেই পাড়ি দিচ্ছেন তিনজন। প্রবা ফটো

সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি কমে যাওয়ায় হেঁটেই পাড়ি দিচ্ছেন তিনজন। প্রবা ফটো

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বর্ষার সময় দুই কুল উপচিয়ে দাপিয়ে চলা যমুনা নদীর পানি ফাল্গুনে শুকিয়ে যাওয়ায় হেঁটেই পারাপার হচ্ছেন স্থানীয়রা। নিয়মিত ড্রেজিং না করায় নাব্যতা সংকটে পড়েছে এই নদী। উজান থেকে আসা পলিতে নদীর বুকে জেগে উঠেছে ছোটবড় অসংখ্য চর। ফলে নৌকা আটকে যাচ্ছে ডুবোচরে, চলাচল কমে বন্ধ হয়েছে বেশ কয়েকটি নৌরুট। এতে বিপাকে পড়েছে নদীপথে যাতায়াতকারী হাজারো যাত্রী ও চরাঞ্চলের মানুষ। 

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা গেছে, সারিয়াকান্দি ও আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার মানুষ যমুনা নদীর কালীতলা ঘাট থেকে শ্যালো মেশিন চালিত নৌকায় জামালপুর ও খেয়া নৌকায় বাগবের, গজারিয়া, চরবাটিয়া, শালুখা কুড়িপাড়া, পাখিমারাসহ বিভিন্ন চরে যাতায়াত করেন। কিন্তু যমুনা নদীতে নাব্য সংকট দেখা দেওয়ায় ঘাটের দক্ষিণে চর জেগে ওঠেছে। নদীর বুকেই হচ্ছে চাষাবাদ। নদীর মাঝখানে এখন সরু খালের মতো। কোথাও হাঁটুপানি, হেঁটেই পার হওয়া যায় এপাড় থেকে ওপাড়। নদীর তীরে পড়ে আছে নৌকা। এছাড়া লোকজন হাঁটু পানি ভেঙে নদী পারাপার হচ্ছেন। আবার কিছু নৌকা চলাচল করলেও তা গন্তব্যে যেতে দ্বিগুণ সময় লাগছে। এতে একদিকে যেমন সময় অপচয় হচ্ছে, তেমনি বাড়তি ভাড়া দিয়ে তাদের চলাচল করতে হচ্ছে। কৃষিপণ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহনে অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হচ্ছে।

রুহুল আমিন নামে চরের এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের প্রতিদিন নৌকায় আসতে হয়। কিন্তু নদীতে পানি নাই। তাই নৌকায় আসতে অনেক সময় লাগে।’

পানি কমে যাওয়ায় যমুনা নদী হেঁটেই পাড়ি দিচ্ছেন তিন নারী। প্রবা ফটো

জামালপুরের বাসিন্দা মাসুদ রানা বলেন, ‘মাঝেমধ্যেই কাজের জন্য বগুড়ায় আসি। কিন্তু আগে আসতে ৫০ মিনিট সময় লাগত। আর এখন আসতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগছে। ভাড়াও গত বছরের চেয়ে ২০ টাকা বাড়িয়েছে।’

চরে কৃষিকাজ করা হাওয়া বিবি জানান, এখন তো হেঁটেই যমুনা নদী পার হই। পানি নাই। পানি বাড়লে নৌকায় যাতায়াত করতে হবে। তবে সেটা আরও দেরি আছে।’

কালীতলা ঘাটের ইজারাদার আবু সাইদ বলেন, যমুনা নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে নদীপথে নৌকা নিয়ে যেতে অনেক সময় লাগছে। মাঝেমধ্যে নৌকা বালুতে আটকে যাচ্ছে। কয়েকদিন আগেই জামালপুর যাওয়ার নৌরুটে নিজ খরচে ড্রেজিং করা হয়েছে। ড্রেজিং করার কারণে কয়েকদিন ভালোভাবে চলা গেলেও পরে আবার বালু জমে একই অবস্থা হয়।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, প্রতিবছর উজান থেকে এসে পলি জমে, এতে নদীর বুকে চর জেগে উঠে। নদীর পানি প্রবাহ ও তীর রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি সমীক্ষা চলমান রয়েছে, যা সম্পন্ন হলে নদী ড্রেজিং প্রকল্প গ্রহণ ও দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা