আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৪৯ পিএম
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:০৪ পিএম
আখাউড়ায় সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে প্রতীকী লাশের মিছিল কর্মসূচি ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে স্থানীয়রা। প্রবা ফটো
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে প্রতীকী লাশের মিছিল কর্মসূচি ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়েছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে আখাউড়া পৌর শহরের সড়ক বাজারে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচিতে নোয়াখালীর মো. হানিফ, মো. আরিফ, চট্টগ্রামের নুরুল আজিম, রংপুরের মো. আবু হোসেন নীরব ও ঝালকাঠির সৌরভ হোসেন বেলাল নেতৃত্ব দেন। এ সময় তাদের সঙ্গে স্থানীয় সাধারণ লোকজন যোগ দেয়। প্রতিবাদে তারা কাঁধে প্রতীকী লাশ বহন করে।
মো. হানিফ বলেন, ‘গরুচোর কিংবা চোরাকারবারি বলে সীমান্তে মানুষ হত্যা করা হয় সময়-অসময়। এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবিতে ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা কয়েকজন একত্রিত হয়ে সারা দেশের সীমান্ত এলাকায় প্রতীকী লাশ নিয়ে মিছিল করে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হত্যা বন্ধে দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জোরালো পদক্ষেপ কামনা করছি। আমরা এমন মৃত্যু আর দেখতে চাই না।’
তিনি বলেন, ‘২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় ১ হাজার ২৭৬ জন বাংলাদেশি হত্যার শিকার হয়েছে। আহত হয়েছে ১ হাজার ১৮৩ জন। গত চার মাসে হত্যা করা হয়েছে ২১ জনকে। তা ছাড়া ৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ যুদ্ধের কারণে মর্টার শেল এসে আঘাত করলে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়।’
মো. হানিফ আরও বলেন, ‘সীমান্তে লাশের মিছিল বন্ধ করতে হবে। এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধে প্রতীকী লাশের মিছিল নিয়ে আমরা প্রচারণা চালাচ্ছি। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত দেশের প্রতিটি সীমান্ত এলাকায় প্রচারণা চালানো হবে। ১৬ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের টেকনাফে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। শেষ হবে যশোরের বেনাপোল সীমান্তে।’ কোনো সংগঠন ছাড়াই তারা কয়েকজন মিলে এই প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে জানান তিনি।