নড়াইল প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:১৬ পিএম
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৪৩ পিএম
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ‘নড়াইল রেলস্টেশন’ পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। প্রবা ফটো
নির্মাণাধীন নড়াইল রেলস্টেশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘কাজের গতিতে আমি সন্তুষ্ট, নির্ধারিত সময়ের আগেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে, আগামী জুনে এ প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল, আমরা আশা করছি এপ্রিলের মধ্যেই এ কাজ শেষ হবে। কাজ শেষ হলেই উদ্বোধন।’
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে নড়াইল পৌর এলাকার দুর্গাপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ‘নড়াইল রেলস্টেশন’ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
সেনাপ্রধান বলেন, ‘সময়ের আগে যখন শেষ হচ্ছে, তাই কাজের গুণগত মান দেখতেই আমার এ পরিদর্শন। নড়াইলের কোনো কাজ সুন্দরভাবে হোক এটাই আমি সব সময় চেয়েছি, আজকে সরেজমিন পরিদর্শন করে আমি খুব খুশি। আমাদের ওপর, সেনাবাহিনীর ওপর যে আস্থা রাখা হয়েছে সে আস্থার প্রতিদান হিসেবে আমরা সময়ের ভিতরে, গুণগত মান ঠিক রেখে কাজটা সম্পন্ন করে দিতে পারব।’
পরে তিনি রেলস্টেশনের পাশে দুর্গাপুর-ডুমুরতলায় অবস্থিত ইবিসি কনস্ট্রাকশন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে হেলিকপ্টারযোগে লোহাগড়ায় যান। লোহাগড়ায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মধুমতী আর্মি ক্যাম্পে দুস্থ-অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ, লোহাগড়া করফাতে একটি মসজিদের উদ্বোধন এবং মল্লিকপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থাপনা কাজের উদ্বোধন করেন সেনাপ্রধান।
এ সময় ৫৫ পদাতিক ডিভিশন যশোর এর জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুবুর রশীদ, নড়াইল পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা এবং সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পটি দুটি ফেইজে বিভক্ত। প্রথম ফেইজে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় ফেইজে ভাঙ্গা থেকে নড়াইল হয়ে যশোরের সিঙ্গিয়া জংশন পর্যন্ত। ঢাকা থেকে যশোরের সিঙ্গিয়া পর্যন্ত মোট ১৬২ দশমিক ৫০০ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ দশমিক ৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভাঙ্গা থেকে যশোরের সিঙ্গিয়া পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনে ব্যয় হবে ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। প্রথম ফেইজের নির্মাণ কাজ সম্পন্নের পর নিয়মিত রেল চলাচল শুরু হয়েছে। ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত রেললাইনে থাকবে মোট ১০টি স্টেশন। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিআরসি) এ রেললাইনের নির্মাণ কাজ বস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছে।