রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:১০ পিএম
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩১ পিএম
যুবলীগ কর্মী জিয়ারুল হক। প্রবা ফটো
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় জিয়ারুল হক নামে এক যুবলীগ কর্মীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে জিয়ারুলকে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার তালন্দ ইউনিয়নের একটি গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় পাশে পড়ে ছিল তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি।
জিয়ারুল হক তানোর উপজেলার বিলশহর গ্রামে বসবাস করতেন। তিনি বিএমডিএর গভীর নলকূপের অপারেটর ছিলেন।
আটক তিনজন হলেন- তালন্দ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য আবুল হাসানের দ্বিতীয় স্ত্রী ফুলবানু, একই ইউনিয়নের ফরহাদ হোসেন এবং শাওন।
গোদাগাড়ী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল রানা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জিয়ারুলের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, জিয়ারুল মঙ্গলবার রাতে শহীদ দিবসের প্রথম প্রহরে এলাকাবাসীর সঙ্গে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে নিজের মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় নিজ গ্রাম বিলশহরের রাস্তার ধারে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তার ঘাড়ে, দুই হাতের কবজি ও পায়ের গোড়ালির কাছে জখম রয়েছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, তালন্দ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য আবুল হাসানের সঙ্গে জিয়ারুলের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ছিল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিয়ারুল তার চাচাতো ভাই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম রাব্বানীর হয়ে কাজ করেন। আর আবুল হাসান কাজ করেন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর হয়ে। জিয়ারুল হত্যার পর থেকে আবুল হাসান ও তার চিহ্নিত সহযোগীরা পলাতক রয়েছে। এই ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবুলের স্ত্রীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোলমা রাব্বানী বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই চাচাতো ভাই জিয়ারুলকে হত্যা করা হয়েছে। নির্বাচনের দিন তালন্দ ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে আমার ভোট বেশি পড়ায় ওই রাতেই জিয়ারুলের ডিপে তালা দেয় প্রতিপক্ষের লোকজন।