খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:১১ পিএম
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:৩৯ পিএম
খানসামা উপজেলার গুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গাছ ও ফুল দিয়ে তৈরি শহীদ মিনার। প্রবা ফটো
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গাছ ও ফুল দিয়ে ব্যতিক্রমী শহীদ মিনার নির্মাণ করেছে স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসে সবাই যখন ইট-পাথরের তৈরি শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছেন ঠিক তখন এই ব্যতিক্রমী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সেই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সুসজ্জিত ফুল বাগানের এক কোণে কাঁটা মেহেদী গাছ ও গাঁদা ফুল দিয়ে তৈরি শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। শুধু শহীদ মিনারই নয়, কাঁটা মেহেদী গাছ দিয়ে তৈরি প্রবেশ গেট দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়ে নান্দনিক বাগান। বাগানে রয়েছে গাছ দিয়ে তৈরি সুসজ্জিত গেট, বেড়া ও বিভিন্ন স্থাপনা। এর মধ্যে নজর কাড়ে শহীদ মিনার, জাতীয় পতাকা, হেলিকপ্টার, বসার স্থান, শাপলা ফুল, ঘরের ছাউনি। সবুজের ছোঁয়ায় তৈরি হয়েছে অপরুপ দৃশ্য। এতে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে পাচ্ছে মনোরম পরিবেশ। ফলে পড়াশোনার ফাঁকে তারা অবসরে বাগানে সময়ে কাটাতে পারছে। এমন ব্যতিক্রমী শহীদ মিনার সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। দর্শনার্থীরা ঘুরতে আসে এ স্কুলে।
রামডুবি থেকে ঘুরতে আসা চয়ন মহন্ত প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, আমি আগে শুনেছি এই স্কুলের কথা। আজকে এইদিক দিয়ে আত্মীয়ের বাসায় যাচ্ছিলাম তাই আসলাম দেখতে। তবে এরকম যদি প্রতিটা স্কুলে দৃষ্টিনন্দন বাগান হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার পাশাপাশি ভালো বিনোদনের জায়গা পাবে।
সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ছোটবেলা থেকেই বাগানের প্রতি আগ্রহ। সে থেকেই বাগানে গাছ ও ফুল দিয়ে বিভিন্ন প্রতীক ও স্তম্ভ তৈরি করি। এর মধ্যে শহীদ মিনারটি আজ নতুন সাজে সেজেছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও এখানে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. এরশাদুল হক জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারটি সত্যি প্রশংসার দাবিদার। এটির পেছনে যারা শ্রম ও মেধা ব্যয় করেছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।
ভাবকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল আলম তুহিন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, এটি অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। বাগান টিকিয়ে রাখতে এবং উপজেলা প্রতিটি স্কুলে এরকম বাগান তৈরির জন্য সকলের সুদৃষ্টি প্রয়োজন।