আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:১৬ পিএম
জীবিকার তাগিদে তিন বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি দেন সোলাইমান মিয়া। সম্প্রতি পরিবারের আয়োজনে মোবাইল ফোনে বিয়েও করেন। রমজানের আগেই দেশে এসে নববধূকে বাড়িতে আনার কথা ছিল। কিন্তু নববধূর হাতের মেহেদি শুকানোর আগেই মারা গেলেন সোলাইমান।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের রিয়াদে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনি। এতে শোকের মাতম চলছে স্বজনদের মধ্যে। সোলাইমান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের বীরচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল হক মিয়ার ছেলে। তিনি রিয়াদে একটি সেলুনে কর্মরত ছিলেন।
সোলাইমানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তার বাবা, মা, বোন ও স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছিল চারপাশ। কোনো সান্ত্বনাই তাদের কান্না থামাতে পারছে না। বিলাপ করতে করতে মা বলতে থাকেন, আমার ছেলের বউয়ের হাতের মেহেদির রঙ এখনও মুছেনি। তার আগেই আমার সব শেষ হয়ে গেছে।
মোবাইলে ছেলের ছবি দেখে একটু পরপর বুক চাপড়াতে থাকেন তিনি। আহাজারি করতে করতে বলছিলেন, ছেলের লাশটা অন্তত দেখতে চাই। কিন্তু লাশ আনতেও নাকি অনেক টাকা লাগবে। এত টাকা এহন কই পাব?
সোলাইমানের প্রতিবেশী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, তিন বছর আগে সে সৌদি আরব যায়। সোলাইমানের বাবা অসুস্থ তাই সে গত মাসে মোবাইল ফোনে বিয়ে করে।
আব্দুর রহিম আরও বলেন, সকালে এক বাংলাদেশি ফোন করে সোলাইমানের মৃত্যুর খবর জানায়। এক বছর আগে ধারকর্জ করে তার ছোট ভাইকে সৌদি আরব নিয়ে গেছে। পরিবারের এই অবস্থার মধ্যে আমরা সোলাইমানের লাশ দেশে আনতে সরকারি সহযোগিতা চাচ্ছি।