× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

৩ মাসে সংগ্রহ হয়নি এক কেজি ধানও

মিলাদ হোসেন অপু, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)

প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:৩৩ এএম

আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:০৬ পিএম

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আমন মৌসুমে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম ভেস্তে গেছে। নির্ধারিত সময়ের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি থাকলেও এখনও ধান সংগ্রহ শুরুই করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। উপজেলার ৬টি সরকারি খাদ্যগুদামে চলতি মৌসুমে ৭৯ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। 

কার্যক্রম শুরু হওয়ার তিন মাস পেরোলেও এখন পর্যন্ত এক ছটাক ধান সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য বিভাগ। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও কৃষকরা পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ার কারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে খাদ্য কর্মকর্তারা দাবি করলেও কৃষকরা অনলাইনে আবেদন করেও ধান সরবরাহের ডাক পাননি বলে অভিযোগ করেন।

এদিকে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি চাল সংগ্রহেও। আমনে ৮৫৯ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের কথা থাকলেও সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৪৫০ টন। জানা যায়, গত বছরের ১৭ নভেম্বর ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু হয়েছে, যা চলবে চলতি মাসের ২৮ তারিখ পর্যন্ত। সরকারিভাবে প্রতি কেজি ধানের মূল্য ২৮ এবং চাল ৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের কৃষক রাফি উদ্দিন বলেন, এ বছর গুদামে ধান দেওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু পরে ধান দেওয়ার জন্য কোনো ডাক পাইনি। বাজারের চেয়ে সরকারিভাবেই গুদামে ধান দিতে আগ্রহী ছিলাম।

আগানগর ইউনিয়নের আরেক কৃষক মোশারফ হোসেন বলেন, আগে তো কৃষি কার্ড দিয়ে সরকারি গুদামে ধান দিতে পারতাম। কিন্তু এখন তো অনলাইনে আবেদন করেও সরকারি দামে ধান দিতে পারেনি। অনলাইনে আবেদন করে ধান দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু পরে কোনো কৃষকের কাছ থেকে সরকারি দামে ধান সংগ্রহ করেনি। তারা ধানের পরিবর্তনে চাল সংগ্রহ করেছে। 

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বাজারের দাম বেশি হওয়াকেই দায়ী করেছেন ভৈরব উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সোহেল রানা। তিনি বলেন, আমাদের ধানের মূল্য থেকে বাজারে ধানের মূল্য বাড়তি ছিল। তাই কৃষকরা ঘাটতি দিয়ে সরকারি দামে ধান দেননি। যার ফলে সরকারি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এক কেজি ধানও সংগ্রহ করা যায়নি। তবে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক পরিমাণ চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। 

কৃষকদের না ডাকার অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, সরকারি গুদামে ধান সংগ্রহের জন্য অনলাইনে অনেক কৃষক আবেদন করেছিলেন। আমরা তাদের মধ্যে থেকে লটারি করে ২৫ জনকে ধান দিতেও বলে ছিলাম। কিন্তু এরপর তারা আর গুদামে ধান দেননি। 

জানতে চাইলে ভৈরব খাদ্য সরবরাহ কেন্দ্রের (এলএসডি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, সরকার আমন মৌসুমের শুরুর দিকেই সরকারি গুদামে ধান সংগ্রহের জন্য ধান ও চালের দাম নির্ধারণ করে দেয়। সেই অনুযায়ী এই উপজেলায় ৫০০ কৃষক সরকারি গুদামে নির্ধারিত দামে ধান দিতে অনলাইনে আবেদন করেছেন। পরে আবেদনকৃত কৃষকদের লটারির মাধ্যমে বাছাই করে ধান দিতে বলা হলে কৃষকরা ধান দেননি বলে তার দাবি।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বাজারদরের চেয়ে সরকারি দামের সঙ্গে বাজার দামের পার্থক্য থাকায় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান সরকারি খাদ্যগুদামে দিচ্ছেন না।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আসাদুজ্জামান মোল্লার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি তা রিসিভ করেননি।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা