লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:১৬ পিএম
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:১৩ পিএম
কমলনগরে কৃষক আবুল কাশেম হত্যা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। প্রবা ফটো
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় কৃষক আবুল কাশেম হত্যার ঘটনায় করা মামলায় সন্দেহভাজন স্ত্রী-শশুরসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চরজাঙ্গালিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১১-এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য র্যাব তাদের কমলনগর থানায় হস্তান্তর করেছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন, নিহত কাশেমের শ্বশুর আলী আক্কাস, শ্যালক জহির উদ্দিন, জ্যাঠাস আকলিমা বেগম, স্ত্রী তাছলিমা বেগম ও শ্যালিকা তাহমিনা আক্তার।
র্যাব-১১-এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ বলেন, ‘হত্যার ঘটনাটির কোনো তথ্য-প্রমাণ ছিল না। ঘটনার পর থেকেই তাহমিনা পলাতক ছিলেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সন্দেহভাজন ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, ‘র্যাব পাঁচজনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাদের হত্যা মামলায় কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’
মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত কাশেম কমলনগরের চরকাদিরা ইউনিয়নের চরপাগলা গ্রামের আবু ছায়েদ মোল্লার ছেলে ও পেশায় কৃষিশ্রমিক ছিলেন। প্রায় তিন মাস আগে চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের তাছলিমাকে পারিবারিকভাবে তিনি বিয়ে করেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি তিনি শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। ২০ ফেব্রুয়ারি বিকালে নিজবাড়ির উদ্দেশে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের হন কাশেম। রাত ১০টার দিকে স্ত্রী তাছলিমা তাকে মোবাইল ফোনে কল দিয়েও পাননি। মোবাইল ফোনটি বন্ধ ছিল। পরদিন সকাল সোয়া ৭টার দিকে শ্বশুরবাড়ির পাশের একটি সয়াবিনক্ষেতে কাশেমের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাছলিমার বাবা আক্কাস মোবাইল ফোনে বিষয়টি কাশেমের বাবাকে জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। কাশেমের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। নাক-মুখে রক্ত লেগে ছিল।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা ছায়েদ বাদী হয়ে কমলনগর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে র্যাব ছায়াতদন্ত শুরু করে। অবশেষে নিহত কাশেমের স্ত্রী-শ্বশুর, শ্যালক-জ্যাঠাস ও শ্যালিকাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র্যাব।