লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৫০ পিএম
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৫৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে লক্ষ্মীপুরে একই পরিবারের ৭ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় জামিন নাকচ করে সাত আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির ইয়াসিন আরাফাত প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাদীর আইনজীবী রাসেল মাহমুদ মান্না বলেন, অভিযুক্তরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালতে অভিযুক্তদের আবেদন নাকচ করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো- জহির, হারুন, রাজু, শরীফ, আরিফ, রিয়াজ ও হৃদয়। তারা লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাঞ্চানগর শাখারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান বাপ্পী বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর মধ্যে সাত জনের নাম উল্লেখ করেন। আর ছয়জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
মামলার বাদী বাপ্পী সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের পশ্চিম সৈয়দপুর গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে ও ইটভাটা ব্যবসায়ী।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের ৪নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বাঞ্চানগর শাখারিপাড়া এলাকায় বাদী বাপ্পীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মেটাল ওয়ার্কসপ ও খালি জমি রয়েছে। সেখানে তার দখল করা খালি জমিতে তিনি ইট-বালু রাখেন। এর মধ্যে একপাশে অভিযুক্ত জহির লাকড়ি রাখতেন। সেখানে রাখার জন্য বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বাপ্পী ইট ও বালু পাঠায়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাপ্পীর ভগ্নিপতি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার নুরনবী লাকড়িগুলো সরিয়ে নিতে জহিরকে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জহিরসহ অভিযুক্তরা নুরনবীর ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে তাকে মারধর করে। এসময় নুরনবীর স্বজনরা তাকে বাঁচাতে এলে জহিরসহ অন্য অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। একপর্যায়ে তাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে নুরনবীসহ সাত জনকে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতারে ভর্তি করে। হামলার সময় নুরনবীর কাছে থাকা ব্যাগ থেকে ৭ লাখ টাকা, ওয়ার্কসপের ক্যাশ বক্স থেকে ৯০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এছাড়া দোকান ভাঙচুর করে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি করেছে বাদীর। আহতরা লক্ষ্মীপুর সদর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।
আহতরা হলেন নুরনবী, তার ভাই জাফর, কোরবান আলী, বাবা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী, স্বজন নুরুল আমিন, কাদের ও মোর্শেদ।