নিজের ও সাবেক স্ত্রীর গায়ে আগুন দেওয়া খলিল মারা গেছেন

নরসিংদী রায়পুরা উপজেলায় সাবেক স্ত্রীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন খলিলুর রহমান। সঙ্গে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১টার দিকে উপজেলার মরজাল ব্রাহ্মণের টেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরদিন সোমবার দুপুরে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন খলিলুর রহমান।

পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, লতা আক্তার নামের এক নারী চিকিৎসকের সঙ্গে খলিলুর রহমানের বিয়ে হয় দুই বছর আগে। বিয়ের পর লতা জানতে পারেন খলিল পেশায় গাড়ি চালক। বিষয়টি লতা স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেননি। প্রতারণার অভিযোগে দুই মাস আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটান লতা। ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল লতার বাড়িতে গিয়ে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন খলিল। এ সময় দুজনেই দগ্ধ হলে লতাকে নরসিংদী জেলা হাসপাতাল ও খলিলকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

খলিলুরের ভাই মফিজুর রহমান বলেন, কথা কাটাকাটির মধ্যে উত্তেজিত হয়ে খলিলুর ও লতা নিজেরাই নিজেদের শরীরে আগুন ধরিয়েছে। আমার ভাইয়ের এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।

লতার খালু ফরহাদ হোসেন শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলামের বরাত দিয়ে জানান, লতার শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তিনি শঙ্কামুক্ত নন।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) সাফায়েত হোসেন পলাশ জানান, গত রবিবার স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ঢাকা থেকে লতার বাবার বাড়িতে আসেন। আমরা শুনেছি এখানে আসার পর দুজনে একই ঘরে ছিলেন। আগুন দেওয়ার ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।