ভোলায় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা
ভোলা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:৪৭ পিএম
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:০২ পিএম
নিষেধাজ্ঞার আগেই ভোলা সদরের তুলাতুলি মেঘনা নদীর তীরে ট্রলারে জাল গুচ্ছাছেন একদল জেলে। প্রবা ফটো
ইলিশের অভয়াশ্রম ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে দুই মাসের জন্য সব ধরনের মাছ ধরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা শুরু হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে নিষেধাজ্ঞা সফল করতে নদী থেকে জাল, নৌকা ও ট্রলারসহ মাছ ধরার সব উপকরণ তীরে নিয়ে এসেছেন জেলেরা। তবে নিষেধাজ্ঞার দুই মাস কর্মহীন নিজেদের নামে সরকারি বরাদ্দের চাল দ্রুত পেতে চান জেলেরা। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিওর কিস্তি আদায় বন্ধ রাখার পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞা কঠোর করারও দাবি জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (১ মার্চ) থেকে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দুই মাসের সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে ইতোমধ্যেই নদী থেকে জাল, নৌকা ও ট্রলারসহ মাছ শিকারের সব উপকরণ তীরে ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছে জেলেরা।
ভোলা সদর উপজেলার তুলাতুলি এলাকার জেলেরা জানান, আমরা এবার ভোলার মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসনের কাছে কঠোরভাবে অভিযান পরিচালনার জন্য অনুরোধ করছি। এ সময় যাতে কোনো অসাধু জেলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরতে না পারে।
জেলেরা বলেন, নিষেধাজ্ঞার দুই মাস আমাদের কোনো আয় রোজগার নেই। সরকার আমাদের জন্য যে ভিজিএফের চাল দিচ্ছেন সেটা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই আমাদের মাঝে বিতরণ করার অনুরোধ করছি। এ ছাড়াও বিভিন্ন এনজিও ও ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তি আদায় দুই মাসের জন্য বন্ধ রাখারও দাবি করছি।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা কঠোর করার জন্য কাজ করছেন তারা। আর নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের ভিজিএফের চাল মার্চ মাসের মধ্যে বিতরণ শেষ করার হবে।
তবে এনজিওর ও ব্যাংকের কিস্তি আদায় দুই মাসের জন্য বন্ধ রাখার বিষয়ে এখনও সিদ্ধাস্ত হয়নি বলে জানান এ মৎস্য কর্মকর্তা।
এদিকে ভোলার সাত উপজেলায় বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী, সেখানে প্রায় আড়াই লাখ জেলে রয়েছে। আর সরকারি নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩৭৫ জন। এদের মধ্যে ভিজিএফর চাল পাচ্ছেন ৮৯ হাজার ৬০০ জন জেলে।