মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৪০ পিএম
ধনেশ্বরী রানী। প্রবা ফটো
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বিধবা নারী বৃদ্ধা ধনেশ্বরী রানী। সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক গত ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে বয়স্ক ভাতার আওতাভুক্ত হয়ে ভাতা উত্তোলন করে আসছেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই তার ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা বন্ধ হয়ে যায়।
ভাতা বন্ধের কারণ খুঁজতে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে গিয়ে জানতে পারেন তিনি মৃত! ধনেশ্বরী রানীকে জানানো হয় তাকে মৃত্যু দেখিয়ে বয়স্ক ভাতা বাতিল করা হয়েছে। বেচেঁ থেকেও মৃত ধনেশ্বরী নিরুপায় হয়ে আবারও ভাতা পাওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন।
ধনেশ্বরী রানী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের কাঁঠালী উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত ভবেশ চন্দ্র বর্মনের স্ত্রী।
ধনেশ্বরী রানী জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর অনেক কষ্টে দিনযাপন করে আসছেন। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলেরা অন্যের জমিতে কৃষি শ্রমিকের কাজ করেন। মেয়ের বিয়ে হয়েছে। শেষ বয়সে এসে গত দুই বছর থেকে যে বয়স্ক ভাতার টাকা পেতেন তা দিয়েই ঔষধপত্র ও খাবার জোগাড় হত তার। হঠাৎ সেই ভাতা বন্ধ হওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি মারা যাইনি। নিজে উপজেলা সমাজসেবা অফিস এবং নির্বাচন অফিসে গিয়েছি। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও মেম্বার মিলে চক্রান্ত করে আমার ভাতা বন্ধ করেছে। আমি জড়িতদের বিচারসহ সঠিক সমাধান চাই, আমার ভাতা চাই।’
উপজেলা সমাজসেবা অফিসের অফিস সহকারী আব্দুল হাকিম বলেন, ‘কিছুদিন আগে প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ভাতা প্রাপ্তদের যাচাই-বাছাই করা হয়। হয়তো সেদিন ধনেশ্বরী উপস্থিত ছিলেন না। তখন মেম্বার-চেয়ারম্যানরা তাকে মৃতের তালিকাভুক্ত করেন। এখন যেহেতু তিনি জীবত আছেন তার আবেদন অনুমোদন হয়ে এলে আবারও ভাতা পাবেন।’
এ বিষয়ে জানতে দুর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান তালুকদারের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘ধনেশ্বরী রানীর ভাতার বিষয়ে একটি আবেদন পেয়েছি। সংশ্লিষ্ঠ চেয়ারম্যান ও সমাজসেবা দপ্তরে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে এবং তার ভাতা পাওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে।’