× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

তেল পরিবহনে নতুন যুগে বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম অফিস

প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৪ ০৯:৪৮ এএম

আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৪ ১১:০৭ এএম

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আমদানি করা তেল বড় জাহাজ থেকে ছোট তেলের ট্যাংকারে করে নিয়ে আসার যুগের অবসান ঘটেছে। এখন সাগরে থাকা বড় জাহাজ থেকে পাইপলাইনে সরাসরি ইস্টার্ন রিফাইনারিতে চলে আসছে তেল। শুক্রবার (১ মার্চ) বিকাল ৪টায় প্রথমবারের মতো সাগর থেকে সরাসরি পাইপলাইনে ডিজেল এসে পৌঁছায়। এর মধ্য দিয়ে জ্বালানি তেল পরিবহনে নতুন যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ।

ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ লোকমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, প্রথমবারের মতো পাইপলাইনে সরাসরি ইস্টার্ন রিফাইনারিতে জ্বালানি তেল এসেছে। এসপিএম প্রকল্পের আওতায় স্থাপন করা পাইপলাইনের কমিশনিংয়ের অংশ হিসেবে তেল আনা হয়।

তিনি বলেন, মহেশখালীর কালারমারছড়ায় স্টোরেজ ট্যাংকে ৬০ হাজার মেট্রিকটন ডিজেল রয়েছে। ওই পাইপলাইন দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় ৭৬৫ মেট্রিকটন তেল পরিবহন করা সম্ভব। সেই হিসেবে কালারমারছড়া থেকে ডিজেলগুলো ইস্টার্ন রিফাইনারিতে নিয়ে আসতে বিকাল ৪টা থেকে আরও ৫২ ঘণ্টা সময় লাগার কথা।

এর আগে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্পের পাইপলাইন কমিশনিংয়ের আওতায় গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় কালারমারছড়ার রিজার্ভ ট্যাংক থেকে ডিজেল সরবরাহ শুরু হয়। এর প্রায় ৩২ ঘণ্টা পর তেল এসে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পৌঁছাল।

এসপিএম প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী শরিফ হাসনাত বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে তেল এসে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল ৮টায় ডিজেল সরবরাহ শুরুর পর আমাদের পুরো পাইপলাইন পর্যবেক্ষণ করে এগোতে হয়েছে। তাই কিছুটা সময় বেশি লেগেছে। পুরোপুরি চালু হলে তখন সময় আরও কম লাগবে।’

গতানুগতিক পদ্ধতি সময়সাপেক্ষ, ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল হওয়ায় গভীর সমুদ্র থেকে সরাসরি পাইপলাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য ২০১৫ সালে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্প হাতে নেয় ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড। শুরুতে তিন বছরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা থাকলেও পরে দুই দফায় সময় বাড়ানো হয়। তৃতীয় সংশোধনী অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন মেয়াদ চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হয়।

প্রকল্পটির আওতায় সাগর থেকে মহেশখালীর কালারমারছড়া, সেখান থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারি পর্যন্ত প্রায় ২২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দুটি পাইপলাইন স্থাপন করা হয়। এর পাশাপাশি মহেশখালীর কালারমারছড়া এলাকায় তৈরি করা হয়েছে ছয়টি বিশালাকার স্টোরেজ ট্যাংক। কালারমারছড়া এলাকায় প্রায় ৯০ একর জায়গা অধিগ্রহণ করে এই ছয়টি স্টোরেজ ট্যাংক নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে পরিশোধিত তেলের জন্য তৈরি করা তিনটি স্টোরেজ ট্যাংকের ধারণ ক্ষমতা ১৫০ হাজার ঘনমিটার। অপরিশোধিত তেলের জন্য তৈরি করা বাকি তিনটি স্টোরেজ ট্যাংকের ধারণ ক্ষমতা ৯০ হাজার ঘনমিটার।

প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার পর গত বছরের জুলাই মাসে ‘এমটি হরে’ নামে একটি তেলবাহী জাহাজ থেকে প্রথমবারের মতো পাইপলাইন দিয়ে পরীক্ষামূলক জ্বালানি তেল সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তখন পাইপলাইনে ত্রুটি ধরা পড়ায় সাগর থেকে পাইপলাইনে মহেশখালীর কালারমারছড়ায় তেল নিয়ে আসার উদ্যোগটি ভেস্তে যায়। পরে ত্রুটি সারিয়ে ৩০ নভেম্বর ওই পাইপলাইন দিয়ে এমটি হারে জাহাজ থেকে ক্রুড অয়েল সরবরাহ শুরু হয়। এটি সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর গত ৫ ডিসেম্বর বিকাল থেকে ডিজেল পরিবহন শুরু হয়। ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা এমটি জেগ অপর্ণা জাহাজ থেকে ডিজেল পরিবহন শুরু হয়। সাগর থেকে তেলগুলো পরিবহন করে সেগুলো কালারমারছড়ায় স্থাপিত এসব স্টোরেজ ট্যাংকে মজুদ রাখা হয়। সেখান থেকে তেলগুলো এখন ইস্টার্ন রিফাইনারিতে নিয়ে আসা হবে।

ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ লোকমান বলেন, এসপিএম প্রকল্পের আওতায় সাগরে জাহাজ থেকে তেল নেওয়া, সেখান থেকে মহেশখালীর কালারমারছড়ায় স্থাপন করা স্টোরেজ ট্যাংকে তেল নিয়ে আসার কমিশনিং কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কালারমারছড়ায় স্থাপন করা যেসব মেশিনারিজ যন্ত্রপাতি আছে, সেগুলোর পরীক্ষা-নিরীক্ষাও সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কালারমারছড়ার স্টোরেজ ট্যাংকে এখন ৮৩ হাজার মেট্রিকটন ক্রুড অয়েল এবং ৬০ হাজার মেট্রিকটন ডিজেল মজুদ আছে। পাইপলাইন কমিশনিংয়ের অংশ হিসেবে এখন এই জ্বালানি তেলগুলো ইস্টার্ন রিফাইনারিতে নিয়ে আসা হবে। এটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে প্রকল্পটির শতভাগ কমিশনিং কাজ শেষ হয়ে যাবে। তখন সাগর থেকে সরাসরি জ্বালানি তেল ইস্টার্ন রিফাইনারিতে নিয়ে আসতে আর কোনো বাধা থাকবে না।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা