নড়াইল প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ মার্চ ২০২৪ ১১:৪৯ এএম
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৪ ১২:০০ পিএম
নিহত নিলয় মোল্যা। ফাইল ফটো
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় নিলয় মোল্যা নামে এক মাদ্রাসাছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (১ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলার খাশিয়াল ইউনিয়নের তালবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় নিলয়ের সঙ্গে থাকা বন্ধু তামিম আহত হয়েছে।
নিহত নিলয় মোল্যা উপজেলার টোনা গ্রামের সাবেক পুলিশ সদস্য সুলতান আহমেদ মোল্যার ছেলে এবং স্থানীয় টোনা দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পুলিশ জানায়, নিলয়, তামিমসহ এলাকার কয়েকজন তালবাড়িয়া গ্রামে ওয়াজ শুনে বাড়ি ফেরার পথে ২০-২৫ জনের একটি দল তাদের পথ আটকায়। তারা নিলয় ও তামিমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিলয়কে মৃত ঘোষণা করেন।
নিলয়ের বন্ধু তামিম জানায়, কিছুদিন আগে তাদের গ্রামের একটি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে শাকিল খান নামে ব্রাহ্মণপাটনা গ্রামের এক তরুণ। নিলয় এর প্রতিবাদ করে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শাকিলকে চড় দেয় নিলয়। পরে স্থানীয় বড় ভাইয়েরা ঘটনাটি মীমাংসা করে দেন। ওই ঘটনার জেরে শুক্রবার মাহফিল থেকে একজন নিলয়কে খাওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে দুইটা চড় মারে। ওখানে কী হচ্ছে দেখতে যায় তামিম। এ সময় শাকিলসহ ২০-২৫ জন দা, সেভেন গিয়ার ছোরা, লাঠি নিয়ে তাদের ওপর আক্রমণ করে। তারা বাঁচার জন্য চিৎকার করলে স্থানীয়রা এসে তাদের উদ্ধার করে।
খাশিয়াল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রেজ্জাক খন্দকার বলেন, তারা মাহফিল থেকে ফেরার পথে জানতে পারেন ব্রাহ্মণপাটনা গ্রামের কামরুল খানের ছেলে শাকিল খানের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন দুটি ছেলেকে কুপিয়ে পালিয়েছে। তাদের উদ্ধার করে কালিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ডাক্তার নিলয়কে মৃত ঘোষণা করেন।
নিলয়ের বাবা সুলতান আহমেদ মোল্যা বলেন, ‘ছেলে বাড়ি থেকে কয়েকজনের সঙ্গে মাহফিল শুনতে গেছিল। এরপর ফোন পাই নিলয়কে মারধর করেছে। হাসপাতালে এসে দেখি নিলয় আর নেই।’
কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পার্থপ্রতিম বিশ্বাস বলেন, ‘হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই নিলয়ের মৃত্যু হয়েছে। তামিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শাকিল খান পলাতক। তার বাবা কামরুল খানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সকালে নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে আসামিদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’