সোনারগাঁয়ে হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বালুব্যবসায়ী সাধন মিয়া হত্যা মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড এবং মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুজনকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

রবিবার (৩ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক মো. আক্তারুজ্জামান ভূইয়া এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন আসামিরা।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সোনারগাঁ উপজেলার কান্দারগাঁও এলাকার শামীম ও আল আমিন। একই এলাকার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. রাসেল। 

নিহত সাধন মিয়া উপজেলার কান্দারগাঁও এলাকার বাসিন্দা। তিনি বালু বাবসায়ী ছিলেন।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) শামীম হোসাইন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের ১৭ জুন সোনারগাঁয়ে হত্যা করা হয় সাধন মিয়াকে। এ ঘটনায় তার মা বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় ১৯ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দুজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড রায় ঘোষণা করেন আদালত। এ রায়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।’

এজাহারে বলা হয়েছে, সাধন মিয়া উপজেলার কান্দারগাঁও গ্রামের বাড়ি থেকে ২০১৪ সালের ১৫ জুন দুপুরে বের হন। ওইদিন রাতে তিনি বাড়ি  ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি মৌখিকভাবে পুলিশকে জানায়। পরেরদিন সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজন সোনারগাঁ রিসোর্ট সিটি নামের একটি বালুর মাঠে সাধন মিয়ার দ্বি খন্ডিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ কান্দাগাঁও গ্রামে নিহতের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

থানা সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৭ জুন কান্দারগাঁও গ্রামের মোজাফ্ফর আলীর ছেলে রিপন মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন সাধন মিয়া।