সাতক্ষীরা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৪ ১৮:১৬ পিএম
আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২৪ ১৮:৪৫ পিএম
শ্যামনগরে জোবেদা সোহরাব মডেল একাডেমি থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে তিথি খাতুন। প্রবা ফটো
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে জোবেদা সোহরাব মডেল একাডেমি থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে তিথি খাতুন। স্বামীর দাফনসংক্রান্ত জটিলতার কারণে নির্ধারিত সময়ের পরে উপস্থিত হলে তাকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি।
বুধবার (৬ মার্চ) সকালে শ্যামনগর পৌর সদরের নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঢুকতে পারেনি সে। যদিও কেন্দ্রসংশ্লিষ্টদের দাবি, শিক্ষা বোর্ড নিয়ন্ত্রকের অনুমতি না মেলায় পরীক্ষার্থীর জন্য তারা কিছু করতে পারেনি।
শ্যামনগর পৌরসভার মাজাট গ্রামের আরশাদ আলী বাবুর মেয়ে তিথি।
পরীক্ষার্থী তিথি খাতুন বলে, প্রায় আট মাস আগে খানবাহাদুর আহসানউল্লাহ কলেজের অনার্সপড়ুয়া দেবহাটা গ্রামের বিল্লাল হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। শনিবার রাতে ট্রাকচাপায় তার স্বামী বিল্লাল হোসেনের মৃত্যু হয়। সকাল ১০টায় জানাজার সিদ্ধান্ত হয়। মাটি দিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে শ্যামনগর পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছলেও তাকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। ওই সময় স্বামীর মৃত্যু ও দাফনের যাবতীয় বিষয় প্রমাণসহ জানানোর পরও তার কোনো কথা না শুনে বরং পরীক্ষা কক্ষে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়।’
তিথির প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘মেয়েটি মেধাবী বলে আমি নিজেও অনুরোধ করেছিলাম। তাকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে বসিয়ে নতুনভাবে ওএমআর ও অন্যান্য প্রশ্নপ্রত্র দিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য। পরীক্ষা দিতে না দেওয়ায় সদ্য স্বামী হারানো এই কিশোরীর জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়ল।’
কেন্দ্র সচিব নকিপুর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুষ্ণেন্দু মুখার্জি বলেন, ‘মেয়েটির এমন দুর্ঘটনার কথা জেনে সরাসরি কন্ট্রোলার স্যারকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু আগেই ওএমঅঅর বা অবজেকটিভ পরীক্ষা শেষ হওয়ায় তাকে নতুন করে সেগুলো সরবরাহ সম্ভব ছিল না। এ ছাড়া মাত্র এক ঘণ্টার একটু বেশি কিছু সময় বাকি থাকতে তিথি কেন্দ্রে পৌঁছায়। এ কারণে তার পক্ষে ওই সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ পরীক্ষা শেষ করা সম্ভব হতো না।’