সিলেটে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসককে পেলেন না মন্ত্রী, সাময়িক বরখাস্ত

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে গিয়ে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। এ সময় নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত না হওয়ায় ওই চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

এর আগে বুধবার (৬ মার্চ) বিমানের একটি ফ্লাইটে দুই দিনের সফরে সিলেট আসেন মন্ত্রী। সকাল সাড়ে ৮টায় সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে নেমে সরাসরি চলে যান জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে। সেখানে গিয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রেন্টু পুরকায়স্থকে তার কর্মস্থলে না পেয়ে তাৎক্ষণিক তাকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে দুপুরের দিকে মন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থা খুব একটা ভালো না। এর জনবল সংকট রয়েছে এবং ভবনের সংস্কার প্রয়োজন। এ ছাড়া সেখানে ডাক্তারদের উপস্থিতি কম থাকায় তাদের কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রেন্টু পুরকায়স্থ দাবি করেন, ‘আমি অফিসিয়াল কাজেই বাইরে ছিলাম। স্যার (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) আসার খবরে আমি তড়িঘড়ি করে অফিসে ছুটে আসি। কিন্তু আমি আসার আগেই স্যার এসে পড়েছিলেন। তাই আমাকে অফিসে না পেয়ে এমন নির্দেশ দিয়েছেন। তবে স্যারের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে।’

এদিকে সকালে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে যান।

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সিলেট আমার জন্মভূমি। আর বিশ্বনাথে আমার বাবা-মার বাড়ি। অনেক দিন পর এখানে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।’

এ ছাড়াও এদিন বেলা ১১টার দিকে সিলেট সার্কিট হাউসে বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সামন্ত লাল। পরে দক্ষিণ সুরমায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা পরিদর্শন করেন তিনি।

পরে মন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সেবার মান বাড়াতে গুরুত্ব দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে যদি আমরা চিকিৎসা ব্যবস্থা ভালোভাবে পৌঁছে দিতে পারি, তাহলে কিন্তু মেডিকেল কলেজগুলোতে ভিড় হবে না। দেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে শুধু সেবা দেওয়া হয় না, সেখানে শিক্ষা ও গবেষণাও করতে হয়। আমাদের সেই পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে।’