নবীগঞ্জে সিলগালা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল খতনা

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে সরকারিভাবে সিলগালা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল খতনার শিকার হয়েছে এক শিশু। খতনা করতে গিয়ে শিশুটির লিঙ্গের কিছু অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। এ সময় দ্রুত রক্তক্ষরণ হতে থাকলে শিশুটিকে জরুরি অবস্থায় সিলেটের একটি বেসরকারি হসপিটালে ভর্তি করা হয়। 

বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার আউশকান্দি বাজার এলাকায় কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। অনুমোদনবিহীন এ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ১৫ দিন আগে সিলগালা করেছিল ভ্রাম্যমাণ আদালত।  

জানা গেছে, নবীগঞ্জের দেবপাড়া ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের আব্দুশ শহীদের ছেলে তামিম আহমেদ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী । বুধবার খতনা করার জন্য কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিয়ে আসলে ভুল খতনার শিকার হয় সে। খতনা করতে গিয়ে শিশুটির লিঙ্গের কিছু অংশ কেটে ফেলে চিকিৎসক। এতে তামিমের দ্রুত রক্তক্ষরণ হতে দেখে তার সঙ্গে থাকা স্বজনরা প্রতিবাদ জানালে মালিক সুহুল আমিন ও ডাক্তার জহিরুল ইসলাম চৌধুরী তাদের হুমকি দিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বাইর করে দেন। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে।  

রাতে শিশু তামিমের চাচা হারুন মিয়া বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ পত্র জমা দেন। উক্ত অভিযোগে ডাক্তার ও মালিকসহ পাঁচ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে শিশু তামিমের চাচা হারুন মিয়ার অভিযোগ, আমার ভাতিজাকে ভুল অপারেশন করে তা লিঙ্গের কিছু অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। এ সময় সে কান্নাকাটি করলে ডাক্তার ও মালিক তাকে মারপিট করেন। তামিমকে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

এ বিষয়ে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার বলেন, ১৫ দিন আগে সিলগালা করা ডায়াগনস্টিক সেন্টার কেন খুলা হয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। 

নবীগঞ্জ উপজেলার টিএইচও ডাক্তার আব্দুস ছামাদ বলেন, অনুমোদনবিহীন কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়েছে। কে বা কারা খুলছে আমরা বিষয়টি জানি না। খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান, খবর পেয়ে তিনি তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়েছেন এবং লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন।