যশোর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০২৪ ২০:২২ পিএম
আপডেট : ০৭ মার্চ ২০২৪ ২০:৩৬ পিএম
বৃহস্পতিবার দুপুরে মনিরামপুর উপজেলায় ফতেয়াবাদ গ্রামের মহিদুল ইসলামের বাড়ির পরিত্যক্ত একটি ঘরে বিস্ফোরণ ঘটে। প্রবা ফটো
যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় ফতেয়াবাদ গ্রামের মহিদুল ইসলামের বাড়ির পরিত্যক্ত একটি ঘরে খেলা করছিল মো. আরজু ও মাইমুন আহম্মেদ নামের দুই শিশু। খেলতে খেলতে আবর্জনার মধ্যে একটি বাজারের ব্যাগ পায় তারা। সেটি খুলতেই একটি প্যাকেটে লাল-কালো টেপ প্যাঁচানো বলসদৃশ বস্তু বেরিয়ে আসে। পরে খেলার ছলে ওই টেপ খুলতেই বিকট শব্দে একটির বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আরজুর হাতে ও মাইমুনের মুখসহ শরীরের ওপরের অংশ ঝলসে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। আহত শিশু আরজু ফতেয়াবাদ গ্রামের আসলাম সরদারের ছেলে এবং মাইমুন একই গ্রামের বাবলু রহমানের ছেলে।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মেহেদি মাসুদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে আরজু ও মাইমুন আহম্মেদ ফতেয়াবাদ গ্রামের মহিদুল ইসলামের বাড়ির পরিত্যক্ত একটি ঘরে খেলা করছিল। খেলতে খেলতে আবর্জনার মধ্যে একটি বাজারের ব্যাগ পায় তারা। সেটি খুলতেই একটি প্যাকেটে লাল-কালো টেপ প্যাঁচানো বলসদৃশ বস্তু বেরিয়ে আসে। পরে খেলার ছলে ওই টেপ খুলতেই বিকট শব্দে একটির বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আরজুর হাতে ও মাইমুনের মুখসহ শরীরের ওপরের অংশ ঝলসে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
ওসি বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পরিত্যক্ত একটি ঘরে খেলাধুলা করছিল শিশু দুটি। ঘটনাস্থল থেকে ৯টি ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। ককটেল কোথা থেকে কীভাবে এখানে এসেছে, সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।’ তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।