নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৪ ১৭:২৯ পিএম
আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২৪ ১৮:০৬ পিএম
প্রতীকী ছবি
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ১৫ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণের পর ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ ঘটনায় দিদার উদ্দিন কামাল নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় বেগমগঞ্জ উপজেলার পৌর বাস টার্মিনাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১১ সিপিসি-৩ নোয়াখালীর কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার দিদার উদ্দিন কামাল নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের কাজিরবাজার এলাকার বাসিন্দা।
জানা গেছে, গত ২ মার্চ দিদার উদ্দিন কামাল, রবিউল হোসেন, আব্দুস সহিদ ওই কিশোরীকে অপহরণ করে একটি টিনশেড ঘরে নিয়ে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’ করে। ৪ মার্চ ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় মামলা করেন। মামলার পর ছায়াতদন্তে নেমে র্যাব-১১ এজহারনামীয় আসামি দিদার উদ্দিন কামালকে গতকাল বৃহস্পতবিার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে।
ওই কিশোরীর বাবা বলেন, আমার মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে আসামিরা প্রেমের প্রস্তাবসহ কুপ্রস্তাব দিত। বিষয়টি স্থানীয়দের জানিয়েছিলাম কিন্তু এর সমাধান পাইনি। আমি কৃষিকাজে জমিতে ছিলাম। ২ মার্চ সকালে আমার মেয়েকে তারা অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে আমার মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে তারা। তার পরদিন ৩ মার্চ সকালে আসামিরা মোটরসাইকেলে আমার মেয়েকে বাড়ির সামনে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। আমি ৪ মার্চ হাতিয়া থানায় মামলা করেছি। আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন, ‘বিশেষ অভিযানে দিদার উদ্দিন কামালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
হাতিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিসান আহমেদ বলেন, ‘আসামি কামালকে র্যাব-১১ আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা তাকে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করেছি। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।’