× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বরইতলা-মোজামনগর খেয়াঘাট

বেহাল খোয়াঘাটে ঝুঁকির পারাপার

মো. ফসিয়ার রহমান, পাইকগাছা (খুলনা)

প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৪ ১৪:৩৯ পিএম

আপডেট : ০৯ মার্চ ২০২৪ ১৪:৪৩ পিএম

পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলার বরইতলা-মোজামনগর খেয়াঘাটে শিবসা নদীর স্রোতে নিচের মাটি সরে নদীতে পড়েছে সাঁকো। প্রবা ফটো

পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলার বরইতলা-মোজামনগর খেয়াঘাটে শিবসা নদীর স্রোতে নিচের মাটি সরে নদীতে পড়েছে সাঁকো। প্রবা ফটো

খুলনার পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলার সীমান্তবর্তী বরইতলা-মোজামনগর আন্তঃজেলা খেয়া পারাপারে চরম দুর্ভোগে রয়েছে দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষ। সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়ায় ঘাট দুটিতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় স্থানীয়দের। জোয়ারের সময় কোনোভাবে পার হতে পারলেও ভাটার সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় যাত্রীদের। দ্রুত সংস্কারের মাধ্যমে দুই পাড়ের ঘাট দুটি পারাপারের উপযোগী করার দাবি এলাকাবাসীর।

আন্তঃজেলা খেয়াঘাটের মধ্যে উপজেলার সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ খেয়াঘাট হচ্ছে বরইতলা-মোজামনগর খেয়াঘাট। এ ঘাটটি দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলার মধ্যে সংযোগ সৃষ্টি করেছে। শিবসা নদীর পশ্চিম পাশে রয়েছে পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের বরইতলা খেয়াঘাট। অপরদিকে পূর্বপাশে রয়েছে দাকোপ উপজেলার মোজামনগর খেয়াঘাট।

সরেজমিনে দেখা যায়, মোজামনগর খেয়াঘাটের কিছুটা আরসিসি এবং কিছুটা বাঁশের সাঁকো রয়েছে। অপরদিকে বরইতলা অংশের সম্পূর্ণ ঘাটটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে তৈরি। শিবসা নদীর প্রবল স্রোতে প্রতিবছর সাঁকোর নিচের মাটি সরে যাওয়ায় প্রায়ই যেন হুমড়ি খেয়ে নদীতে পড়ে সাঁকোর সংযোগ অংশ। এ কারণে ভাটার সময় সাঁকোয় নৌকা অনেক নীচে ভিড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় ওঠানামা করতে হয় নদী পারাপারকারী নারী শিশুসহ সাধারণ মানুষকে। তীরে ভেড়া নৌকা থেকে ঝুঁকি নিয়ে নামতে হয়। মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন পারাপারে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। 

নদী পারাপাররত যাত্রী চিত্তরঞ্জন মণ্ডল বলেন, জোয়ারের সময় নদীতে পানি বেশি থাকায় খুব সমস্যা না হলেও ভাটার সময় পার হতে গেলে বুক ধড়ফড় করে। 

সেলিনা বেগম নামে আরেক যাত্রী বলেন, একবার এ খেয়াঘাট পার হলে আর মনে হয় না পার হই। এভাবে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ খেয়াঘাটের মাধ্যমে নদী পার হওয়ার কথা বাড়িতে গিয়ে মনে হলেও ভয়ে শরীর শিউরে ওঠে। 

মালেক নামে এক যাত্রী বলেন, কাজের প্রয়োজনে আমার মোটরসাইকেলটি নিয়ে আমাকে চলাচল করতে হয়। নদী পারাপারে এ ঘাটটিই নিয়মিত ব্যবহার করি। কিন্তু মোটরসাইকেল পারাপারে খুবই ভোগান্তি পোহাতে হয়। খেয়াঘাটের সংযোগ পথটি বাঁশের সাঁকোয় হওয়ায় ভেঙে পড়ার ভয়ে থাকতে হয়। সাঁকোটি আবার কয়েক জায়গায় ভাঙা।

ইজারাদার ইসমাইল সানা জানান, ঘাটটি সংস্কারের জন্য একাধিকবার আবেদন করেছি। কিন্তু সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই। মাঝি সাইফুল্লাহ বলেন, প্রতিদিন এ ঘাট দিয়ে শত শত মানুষ পার হয়। খেয়াঘাটটি পার হওয়ার সময় তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। নৌকাকে নদীর পাড় ও খেয়াঘাটে ঠিকমতো না ভিড়াতে পারায় অনেক সময় যাত্রীরা কাদামাটিতে পড়ে যায়। এ পথে আমরা যারা নিয়মিত চলাচল করি, আমরা চাই দ্রুত ঘাট দুটি সংস্কার করার। 

সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান গাজী জানান, এ ঘাটটি আন্তঃজেলা হওয়ায় জেলা প্রশাসন থেকে এটি ইজারা দেওয়া হয়। সরকার এখান থেকে প্রতিবছর অর্ধ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করে থাকে। অথচ এ ঘাটের উন্নয়নে কোনো বরাদ্দ নাই। 

পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন বলেন, দুয়েক দিনের মধ্যেই খেয়াঘাটের উন্নয়ন কাজ করা হবে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা