লোহাগড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ব্যবসায়ীর মৃত্যু, গ্রেপ্তার ২

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ব্যবসায়ী হুমায়ূন ঠাকুরের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৯ মার্চ) সকালে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে তার ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত হুমায়ূন ঠাকুর উপজেলার পৌরসভার কচুবাড়িয়া গ্রামের মৃত মো. নিরু মিয়া ঠাকুরের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাতে লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা চৌরাস্তা এলাকার ঢাকা বাস কাউন্টারের সামনে কথা কাটাকাটির জেরে লোহাগড়া পৌর এলাকার রাজুপুর গ্রামের ফারুক শেখের ছেলে হায়াতুরসহ কয়েকজন অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে আবদুল্লাহ ঠাকুর শিপলা ও রুমানকে মারধর করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় হায়াতুরের লোকজন কুপিয়ে হুমায়ূন ঠাকুরকে মারাত্মক জখম করে।

স্থানীয় লোকজন হুমায়ূন ঠাকুরকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা তাকে প্রাইম হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে মারা যান তিনি।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনার পরের দিন থানায় একটি মারামারি ও হত্যাচেষ্টা মামলা হয়। দায়েরকৃত মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনায় হায়াতুর শেখ ও হামীম শেখ নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন আছে, পরিস্থিতি বর্তমান শান্ত। অন্যান্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।’