রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২৪ ১৫:৩৭ পিএম
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৪ ২০:১৯ পিএম
গৃহবধূ বিপাশার মরদেহ। প্রবা ফটো
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার সোনাপুর এলাকায় মফিজ পাটোয়ারীর বসতঘরের পাশে আম গাছ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত বিপাশা উপজেলার সোনাপুর ওয়ার্ডের দাস বাড়ির রবি দাসের স্ত্রী এবং ফরিদগঞ্জ উপজেলার পূর্ব গুপ্তি ইউনিয়নের বৈচাতরী গ্রামের ছোট মঙ্গল বাড়ির রাম চন্দ্র দাসের মেয়ে। তার দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে সোনাপুর ওয়ার্ডের কেরামত আলী পাটোয়ারীর বাড়ির পাশে একটি আম গাছের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে রামগঞ্জ থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহত গৃহবধূর বাবা রাম চন্দ্র দাস প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, ৬ বছর আগে সোনাপুর ওয়ার্ডের রবি দাসের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই আমার মেয়েকে নির্যাতন করত। গত দুই মাস আগে শশুর বাড়ির নির্যাতন সইতে না পেরে সে আমার বাড়িতে চলে আসে। পরে উভয় পক্ষের লোকজনের সমন্বয়ে সালিশি বৈঠকে সমাধান হলে পুনরায় শশুর বাড়ি চলে যায়। দুই মাস পর সোমবার সন্ধ্যায় আমার মেয়ে তার শশুর বাড়িতে তাড়াতাড়ি যেতে বলেন। আমরা যখন পৌঁছেছিলাম তখন তাকে ঘরে খুঁজে পাওয়া যায়নি। খুঁজতে খুঁজতে সকালে খবর পেলাম পাশের বাড়ির পাটোয়ারী বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়েছে আমার মেয়ে। আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে আমি এর বিচার চাই।
বিপাশার স্বামী শিপন রবি দাস জানান, আমি জুতা সেলাইয়ের কাজ করি। সকাল ৮টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে রামগঞ্জ বাজারে আসি। এরপর সকাল ১০টায় খবর পাই আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে। আমি এর কিছুই জানিনা।
ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, মফিজ পাটোয়ারীর বাড়ির পাশে একটি আম গাছে গৃহবধূ বিপাশার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।