রূপগঞ্জ (নারাণয়গঞ্জ) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৪ ২১:২৯ পিএম
আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৪ ২২:২০ পিএম
রূপগঞ্জে ফুটপাথ থেকে হকাদের উচ্ছেদ করতে গিয়ে মারধরের শিকার হন ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আরিফুল হক ভূঁইয়া। ছবি : ভিডিও থেকে নেওয়া
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় ফুটপাথ থেকে হকার উচ্ছেদ করতে গিয়ে ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আরিফুল হক ভূঁইয়া হকারদের মারধরের শিকার হয়েছেন। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ভুলতা এলাকার গাউছিয়া মার্কেটের সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ফুটপাথ দখল করে অবৈধভাবে বিভিন্ন দোকানপাট বসানো হতো। ফুটপাথ দখলের ফলে বেশিরভাগ সময়ই মহাসড়কটিতে যানজট লেগে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হতো। ১০ দিন আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আহসান আহমেদ রাসেলসহ প্রশাসন ভুলতা এলাকার ফুটপাথ পুরো উচ্ছেদ করে দেয়। এরপর থেকে হকাররা ফুটপাথে স্বল্প জায়গা নিয়ে বসলে পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
শুক্রবার বিকালে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল হক ভূঁইয়া এক আখের রস বিক্রেতাকে ফুটপাথ থেকে সরে অন্য কোথাও গিয়ে আখের রস বিক্রি করতে বলেন। ওই বিক্রেতা ফুটপাথ থেকে সরতে রাজি না হলে আরিফুল হক ক্ষিপ্ত হয়ে যান। এ সময় দুজনের মাঝে বাগবিতণ্ডা শুরু হলে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। লোকজন জড়ো হতে দেখে ভুলতা ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। একপর্যায়ে আরিফুল হক ভূঁইয়া আখের রস বিক্রেতাকে মারধর করেন। আখের রস বিক্রেতাকে মারধর করায় অন্যান্য হকার ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যানকে মারধর করেন। পরে দুই পক্ষকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন হকার জানান, ফুটপাথ থেকে উচ্ছেদ হওয়ার পর থেকে পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছেন। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ফুটপাথে বসলেও পুলিশ আবার তাড়িয়ে দেয়। হকাররা যদি অন্যায় করে থাকে আইন আছে তাদের বিচার হবে। আরিফ চেয়ারম্যান আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না। তিনি একজন হকারকে মারধর করেছেন, এটি খুবই ন্যক্কারজনক ঘটনা।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আরিফুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমি আখের রস বিক্রেতাকে ফুটপাথ থেকে সরে অন্য স্থানে যেতে বললে সে না গেলে আমি তাকে পিঠে একটি থাপ্পড় দিই। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তার পক্ষে কথা বলতে শুরু করে। এতে হকাররা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। পরে বিষয়টি ভুলতা পুলিশ ফাঁড়িতে মীমাংসা হয়।’
এ ব্যাপারে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আরিফুল হক ভূঁইয়ার উচিত পুলিশ প্রশাসনকে সাথে নিয়ে হকার উচ্ছেদ করতে যাওয়া। তিনি না জানিয়েই ফুটপাথ উচ্ছেদ করতে গেছেন। আরিফুল হক ভূঁইয়ার ওপর হকাররা চড়াও হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’