কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৪ ১৯:০০ পিএম
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৪ ২০:১০ পিএম
কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুলে একের পর এক পাহাড় কাটা অব্যাহত রয়েছে। প্রবা ফটো
কক্সবাজার সদর
উপজেলার খুরুশকুলে একের পর এক পাহাড় কাটা অব্যাহত রয়েছে। এ নিয়ে সচিত্র সংবাদ প্রকাশ
এবং প্রতিকারের জন্য সংশ্লিষ্ট ১৪ কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জেরে ক্ষুব্ধ
হয়েছে স্বয়ং পরিবেশ অধিদপ্তর। তারা পাহাড় কাটার ঘটনায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা
দায়ের করেছে। সেখানে তিন সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে।
গত ১৪ মার্চ পরিবেশ
অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. মুসাইব ইবনে রহমান বাদি হয়ে কক্সবাজার
থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় খুরুশকুলের নবাব মিয়া, নাছির উদ্দিন রুনো ছাড়াও
তিন সাংবাদিককে আসামি করা হয়। তারা হলেন দৈনিক সকালের কক্সবাজার পত্রিকার বার্তাপ্রধান
ও পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপলের প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ,
দৈনিক গণসংযোগ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, দৈনিক সকালের কক্সবাজার পত্রিকার
নির্বাহী সম্পাদক ও সামাজিক সংগঠন আমরা কক্সবাজারবাসীর সংগঠনিক সম্পাদক মহসীন শেখ।
মামলায় সদর উপজেলার
খুরুশকুল ইউনিয়নের পূর্ব হামজারডেইলে ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ১২ মার্চ
পর্যন্ত ৫০ ফুট উঁচু ৩০ শতক পাহাড় কেটে নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে,
স্বপন কান্তি রুদ্র নামে এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ওই তিন সাংবাদিক পাহাড় কাটায় জড়িত।
স্বপন কান্তি
রুদ্রর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন,
‘আমি ও আমার মা আমাদের পৈত্রিক
কৃষিজমির পাশে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছি। এখানে পানের বরজ ও কৃষিকাজ করেই আমরা জীবিকা
নির্বাহ করি। আমরা সংখ্যালঘু ও অসহায় হওয়ায় কিছু লোক আমাদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছে।
আমার বাড়ি থেকে পাহাড় কাটার স্থানটি আনুমানিক ৫০০-৬০০ গজ দূরে। যেখানে পাহাড় কাটা হচ্ছে
সেখানে সরকারের দেওয়া মানুষের ঘর রয়েছে। কয়েক দিন আগে হঠাৎ করে ফরেস্টারের সাথে কয়েকজন
লোক এসে আমাকে ভয়ভীতি দেখায়। তারা রাশেদুল মজিদসহ কয়েকজনের নাম বলতে বাধ্য করে।’
পাহাড় কাটার ঘটনায়
পরিবেশ অধিদপ্তর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে সংবাদ প্রকাশ ও বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ
দায়ের করা ক্ষুব্ধ হয়ে পরিবেশ পরিদর্শক মো. মুসাইব ইবনে রহমান এই মামলা করেছেন বলে
সাংবাদিকরা দাবি করেছেন। মামলার আসামি সাংবাদিক রাশেদুল মজিদ বলেন, ‘সংবাদ প্রকাশ এবং অভিযোগ দেওয়ার
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পরিবেশ অধিদপ্তর ক্ষুব্ধ হয়ে এমনটি করেছে।’
আসামি সাংবাদিক
মহসীন শেখ বলেন, ‘যে তিন সাংবাদিককে আসামি করা
হয়েছে তারা সকলেই শহরে বসবাসকারী। পাহাড় কাটার স্থানটি দূরে। মূলত ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজিমনে
ছবি ধারণ এবং সংবাদ প্রকাশ করায় আমাদের আসামি করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে পরিবেশ
অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. মুসাইব ইবনে রহমান নম্বরে একাধিকবার ফোন
করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এমনকি এসএমএস পাঠানো হলেও তিনি সাড়া দেননি।