চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৪ ২২:১৩ পিএম
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৪ ২২:১৫ পিএম
দেশের মানুষ কম পণ্য কিনে অল্প খেয়ে রোজা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যবসায়ীরা রোজাদারদের সম্মানে পণ্যের দাম কমিয়ে দেয়। কিন্তু বাংলাদেশে উল্টো দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত রয়েছে ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (১৬ মার্চ) বিকালে পশ্চিম গোসাইলডাঙ্গা পাইল হাউজে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বন্দর থানা বিএনপির সেহেরি ও ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবারের রোজার বাজার বেশি বেসামাল। গত বছরের রোজার আগের বাজারে যে পণ্যমূল্য ছিল, এবার তার দ্বিগুণের বেশি। এবারের রোজায় সাধারণ মানুষকে গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ খরচ করতে হচ্ছে। কম পণ্য কিনে অল্প খেয়ে রোজা রাখছে মানুষ।’
এমন পরিস্থিতির কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলোর চরম নির্লিপ্ততার সুযোগে তারা মুনাফা শিকারে চরম বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দ্রব্যমূল্যের এই অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বাজারে প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে হয় না বলেই এই অবস্থা চলতে পারছে। দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা দেখে মনে হচ্ছে, দেশটা এখন মগের-মুল্লুকে পরিণত হয়েছে।’
তিনি অবিলম্বে নিত্যপণ্যের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে রাখার আহ্বান জানান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
এসময় আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ‘এই সরকার নির্বাচিত সরকার নয়, যার কারণে তাদেরকে কোথাও জবাবদিহি করতে হয় না। তাই তাদের পকেট ভারী করার জন্য সব কিছুর দাম বাড়িয়ে চলছে। সব কিছুর দাম বাড়িয়ে এই সরকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে দমনমূলক আচরণ করছে। সীমাহীন লুটপাট ও দুর্নীতির আর্থিক দায় জনগণের কাঁধে চাপাতেই সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধি করেছে সরকার। দেশবাসীকে সরকারের এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
বন্দর থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসান মুরাদের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. হারুনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে ইস্রাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী।