নেত্রকোণা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৪ ২২:২৪ পিএম
চাঁদাবাজির অভিযোগে আদালতে দায়ের করা মামলা তুলে না নেওয়ায় নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় এবার আসামিরা ওই মামলার বাদী ও তার পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এর আগে বাদীর ক্ষেতের পাকা গমগাছ কেটে নেয় চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার আসামিরা।
অবরুদ্ধ মুজিরুল হক উপজেলার রোয়াইল বাড়ি আমতলা ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের বাসিন্দা এবং পুরুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে মুজিরুল হক স্থানীয় পেমই পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অবরুদ্ধ করে রাখার বিষয়ে অভিযোগ করলে দুপুরে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সাদ্দাম হোসেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এসআই সাদ্দাম হোসেন বলেন, মুজিরুল হকের পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনার কোনো সত্যতা পাইনি। তবে সুব্রত মাস্টারের বাড়িতে বেশ কিছু লোকজনকে মিটিং করতে দেখেছি। তারা সনাতন ধর্মীয় একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে আলাপ করছিলেন বলে জানান।
ভুক্তভোগী মুজিরুল হক বলেন, পুলিশ যাওয়ার পরই আসামিরা আমার বাড়ির আশপাশে ঘোরাফেরা শুরু করেছে। আমি এবং আমার পরিবারের লোকজন ঘর থেকে বের হলেই ধরে নিয়ে যাবে বলে হুমকিও দিচ্ছে।
অভিযুক্ত সুব্রত লাল ভট্টাচার্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এলাকার অনেকেই তার কাছে টাকা পাবেন। সে টাকা চাইতে গেলেই তিনি মিথ্যা অভিযোগে মামলা করেন।’
এদিকে চাঁদাবাজির অভিযোগে একই গ্রামের অনিরুদ্ধ সরকার রুবেল, সাইদুর, এরশাদ, রতন মিয়া ও পিন্টুসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে নেত্রকোণা আদালতে মুজিরুল হক বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। গত ১২ মার্চ নেত্রকোণা আদালত প্রাঙ্গণে সাক্ষীদের সাক্ষ্য না দিতে এবং মামলাটি তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করেন আসামিরা। তা না হলে বাদীকে হত্যারও হুমকি দেন তারা। পরে আসামিরা আদালত থেকে বাড়ি ফিরে ঐ দিন বিকালেই প্রকাশ্যে বাদীর ৩০ শতক জমিতে থাকা পাকা গমগাছ কেটে নিয়ে যায়।