প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৪ ১৬:৫০ পিএম
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২৪ ১৬:৫২ পিএম
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার দুর্গম উপকূলীয় অঞ্চল ভাসানচরকে স্মার্ট ডাক সেবার আওতায় আনা হয়েছে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক রবিবার (১৭ মার্চ) ভাসানচর সাবপোস্ট অফিস উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ১৩ হাজার একরের ভূখন্ডটি ডাক সেবার আওতাভুক্ত করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়, ১ মার্চ প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর সফরকালে সেখানে কর্মরত সরকারী ও বেসরকারী সংস্থায় কর্মচারি–কর্মকর্তা সর্বোপরি স্থানীয় জনগণের স্মার্ট ডাক ও কুরিয়ার সেবার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বিবেচনা করে একটি সাবপোস্ট অফিস প্রতিষ্ঠার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে রবিবার থেকে ভাসানচরে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মার্ট ডাক সেবার যাত্রা শুরু হয়।
এ উপলক্ষে স্মার্ট প্লাটফর্মে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিকনির্দেশনায় ভাসানচরের বাসিন্দাদের জন্য মোবাইল অপারেটর এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে আধুনিক টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্মার্ট ডাক সেবা চালু করা হলো। এর মাধ্যমে চরবাসীর জন্য ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে পেরেছি বলে আমার বিশ্বাস।’
তিনি বলেন, ‘মাদার অব হিউম্যানেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দশ লাখ মায়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মায়ানমারের এই সব বিপন্ন নাগরিকদের আশ্রয় ক্যাম্প হিসেবে ভাসানচর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জনপদে রূপান্তরিত হয়েছে। এই জনপদে একটি সাবপোস্ট অফিস স্থাপন করা খুবই জরুরি ছিল ডাকঘরের বিস্তীর্ণ নেটওয়ার্ক, বিশাল অবকাঠামো ও জনবল ব্যবহার করে প্রত্যন্ত এলাকাসহ দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য। বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের বিজ বপন করেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর বপন করা বিজটি চারা গাছে রূপান্তর করেছেন। ২০০৯ সাল থেকে গত সাড়ে ১৫ বছরে তা মহিরূহে রূপ নিয়েছে।
ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পূর্বাঞ্চল চট্রগ্রামের পোস্ট মাস্টার জেনারেল সালেহ আহমেদ, স্মরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার মাহফুজার রহমান এবং সম্মুখ ঘাটি ভাসানচরের নির্বাহী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মেহেদী হাসানা বক্তব্য দেন।