সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৪ ১৫:১১ পিএম
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৪ ১৭:০৮ পিএম
সংঘর্ষ চলাকালে দেশীয় অস্ত্র হাতে এক পক্ষ। প্রবা ফটো
ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ইমারত হোসেন ওরফে পিকুল মোল্লা ও উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও রামকান্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইশারত হোসেন গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের মদনদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষ চলে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন উভয় গ্রুপের ১১ জন। ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর।
স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মো. ইশারত হোসেনের সঙ্গে ইমারত হোসেন ওরফে পিকুল মোল্লার বিরোধ চলছিল। সম্পর্কে তারা মামাতো-ফুফাতো ভাই। তারা দুই জন গত ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। নির্বাচনে ইরাশত হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর থেকে তাদের বিরোধ আরও তীব্র হয়।
রবিবার ইশারত চেয়ারম্যানের বাবা হাজী আবুল কালাম, চাচা আজিজাল, চাচাতো ভাই রাকিবুল ইসলাম কুব্বত সন্ধ্যায় নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় মিরাজ মোল্লার দোকানের সামনে পিকুল মোল্লার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়।
পিকুলের নেতৃত্বে ইশারত চেয়ারম্যানের বাবা ও চাচার ওপরে হামলা করা হয়। বিষয়টি ইশারত চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে জানাজানি হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্রসহ লাঠিসোটা নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান।
সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল নগরকান্দা) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, খবর পেয়ে ওসিসহ সঙ্গীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শর্টগানের ১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৬টি টেটা, ১০টি কাতরা, ১১ টি বাঁশের লাঠি, ৫টি ঢাল ও ১টি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে।