টাঙ্গাইলে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান খান ওরফে ঝলককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাতে নিহতের বাবা বাদী হয়ে নাগরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় রাতেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সলিমাবাদ মধ্যপাড়ায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। 

নাগরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান জাহিদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ সলিমাবাদ গ্রামের ছামিনুর রহমান খানের ছেলে। তিনি টাঙ্গাইলের সরকারি এম এম আলী কলেজের স্নাতকের শিক্ষার্থী ছিলেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ গ্রামের রানা মিয়া ও তার ভাই জিয়াদ ও একই গ্রামের ইমন মিয়া। 

নাগরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিম হোসেন রতন বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাই। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

নাগরপুর থানার ওসি এইচ এম জসিম উদ্দিন স্থানীয়দের বরাতে জানান, সোমবার রাতে জাহিদ তারাবির নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় মাঠের কাছে ফাঁকা একটি জায়গায় পূর্ব থেকে ওতপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নাগরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসান জাহিদ বলেন, ‘রাতেই নিহত ঝকলকের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ রাতেই মামলার আসামি জিয়াদ, ইমন ও রানাকে গ্রেপ্তার করে। নিহত জাহিদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আজ মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’