গোপালগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৪ ১৬:৩৩ পিএম
আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৪ ১৬:৩৫ পিএম
গোপালগঞ্জের এস এম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে খালিদের জানাজা। ছবি : সংগৃহীত
বাবা-মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আশি ও নব্বই দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী খালিদ আনোয়ার সাইফুল্লাহ। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) জোহরের নামাজের পর গোপালগঞ্জ শহরের এস এম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার দ্বিতীয় জানাজা হয়। পরে শহরের পুরোনো পৌর কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
এর আগে সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গ্রিন রোড জামে মসজিদে খালিদ হোসেনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে জানাজা শেষে তার মরদেহ গোপালগঞ্জে নিয়ে আসা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভোর থেকে হাজারো ভক্ত, অনুরাগী, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সাধারণ মানুষ একনজর দেখতে ছুটে আসেন তার বাসায়। জোহরের নামাজ শেষে জেলা শহরের এস এম মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে খালিদের দ্বিতীয় জানাজা হয়। পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। জানাজায় জেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, খালিদের বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী, ভক্তরাসহ হাজারো মানুষ অংশ নেয়। বেলা পৌনে ২টার দিকে শহরের পুরোনো পৌর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, নাথি খাথি বেলা গেল সুতি, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’-র মতো জনপ্রিয় গানের এই শিল্পী।
সন্ধ্যায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে খালিদকে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কয়েক বছর ধরেই হৃদ্রোগে ভুগছিলেন খালিদ; একাধিকবার হৃদরোগের চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি।
১৯৬৫ সালে জন্ম নেওয়া খালিদ হোসেন গানের জগতে যাত্রা শুরু করেন ১৯৮১ সাল থেকে। ১৯৮৩ সাল থেকে ‘চাইম’ব্যান্ডে যোগ দেন। একের পর এক হিট গান উপহার দিয়ে অল্প সময়েই খ্যাতি পান খালিদ, তার গান এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে।