× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

থামছে না পাহাড় কাটা

মাইক্রোওয়েভ স্টেশন ধসে পড়ার ঝুঁকিতে

নুপা আলম, কক্সবাজার

প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৪ ০৯:০৭ এএম

আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৪ ১১:১০ এএম

চারপাশের পাহাড় কেটে ফেলায় ঝুঁকির মুখে পড়েছে কক্সবাজারের ‘মাইক্রোওয়েভ স্টেশন’। প্রবা ফটো

চারপাশের পাহাড় কেটে ফেলায় ঝুঁকির মুখে পড়েছে কক্সবাজারের ‘মাইক্রোওয়েভ স্টেশন’। প্রবা ফটো

চারপাশের পাহাড় কেটে ফেলায় ঝুঁকির মুখে পড়েছে কক্সবাজারের ‘মাইক্রোওয়েভ স্টেশন’। জেলা শহরের কলাতলী বাইপাস সড়কের পাশে আদর্শ গ্রামে অবস্থিত স্টেশনটিতে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন টেলিকম অপারেটর ও গোয়েন্দা সংস্থার রেডিও অ্যান্টেনা। রয়েছে ‘মহেশখালী ডিজিটাল আইল্যান্ড’ প্রকল্পের অ্যান্টেনা এবং বিটিভির সম্প্রচার যন্ত্রপাতি। এলাকাটি স্থানীয়দের কাছে টিঅ্যান্ডটি টাওয়ার নামে পরিচিত। সরকারি নথিপত্র অনুযায়ী, ৫ দশমিক ৬ একর জমির ওপর ১৯৭৬ সালে নির্মাণ করা হয় স্টেশনটির স্থাপনা।

গত ১৫ বছরের ধারাবাহিক দখল ও পাহাড় কাটার কারণে যেকোনো মুহূর্তে স্টেশনের ৮৩ ফুট উঁচু টাওয়ারসহ স্থাপনাটি ধসে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এটি ধসে পড়লে কক্সবাজারের সরকারি-বেসরকারি যোগাযোগ মাধ্যমে বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে।

স্টেশনটির কর্তা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ২০ দিন ধরে প্রতি রাতেই পাহাড় কাটা হয়। শতাধিক শ্রমিক ১৫০ ফুট উঁচু পাহাড়টি কেটে মাটি সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ডাম্পার ট্রাকে করে। সশস্ত্র পাহারায় চলছে এই কাজ। এর হোতা কক্সবাজারের বহুল আলোচিত ‘ইলিয়াস’। সরেজমিন দেখা যায়, মাইক্রোওয়েভ স্টেশনের চারপাশে পাহাড়ের পাদদেশে বিশাল এলাকা দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে একের পর এক স্থাপনা। ইট ও টিনের বাউন্ডারি দেওয়া এসব স্থাপনা।

সম্প্রতি নতুন করে ধারাবাহিক পাহাড় কাটার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নিজামী। তিনি বলেন, মাইক্রোওয়েভ স্টেশন ঘিরে সম্প্রতি পাহাড় কাটার খবর পেয়ে ১৬ মার্চ রাতে অভিযান চালানো হয়। বন বিভাগ, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পাহাড় কাটার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ সময় পাহাড় কাটায় জড়িতরা পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে বন বিভাগকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের কর্মকর্তা সরওয়ার আলম বলেন, ‘পাহাড়টি বন বিভাগের বলে জানি। কিন্তু এখন এক ব্যক্তি এর মালিকানা দাবি করে কিছু কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। সেসব যাচাই করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত মালিকানায় পাহাড় থাকার কথা না। শ্রেণি পরিবর্তন করে এটি করলেও পাহাড় কাটা অপরাধ। যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বন বিভাগের কক্সবাজার সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন শাহ বলেন, ‘ইলিয়াস নামের এই ব্যক্তি পাহাড়ের মালিকানা দাবি করে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। এটা আসল না ভুয়া তা যাচাই হচ্ছে।’ সংরক্ষিত বনভূমি দখলের অভিযোগে এই ইলিয়াসের বিরুদ্ধে ১২-১৪টি মামলা রয়েছে বলে জানান তিনি।

বন বিভাগ ও কলাতলী এলাকার লোকজন বলছেন, ২০০৮ সালে মাইক্রোওয়েভ স্টেশনের পাশে জায়গা দখল করে ঘর তৈরি করে অবস্থান নেন এই ইলিয়াস। সেই থেকে ইলিয়াসের উত্থান। ২০০৯ সালে জানুয়ারি মাসে কলাতলী টিঅ্যান্ডটি এলাকায় ৮০০১ দাগের দুই একর সরকারি সংরক্ষিত বনভূমি দখল করে নেন। বন বিভাগ বেশ কয়েকবার তার ঘর উচ্ছেদ করলেও পুনরায় ইলিয়াস তা দখল করেন।

ইলিয়াস দখলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি আমার খতিয়ানভুক্ত জায়গা। আগে থেকেই স্থাপনা ছিল। এখন নতুন করে কোনো পাহাড় কাটা হচ্ছে না। এখানে টিঅ্যান্ডটির কোনো জায়গা নেই। আমার জায়গায় আমি আছি।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা