নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৪ ১৫:৫১ পিএম
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৪ ১৭:০১ পিএম
বুধবার ভাসানচরে সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে এক নম্বর হেলিপ্যাডে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের এরিয়া কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল খন্দকার মিসবাহ-উল আজিম। প্রবা ফটো
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের শিক্ষা-চিকিৎসা ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছাদূত ও সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়া। তিনি ভাসানচরে এক ঘণ্টা ছিলেন। এ সময় রোহিঙ্গাদের স্কুল, ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
বুধবার (২০ মার্চ) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে পরিদর্শন শেষে ৩৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল নিয়ে হেলিকপ্টারযোগে ভিক্টোরিয়া ভাসানচর ত্যাগ করেন। এর আগে ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে হাতিয়া থেকে হেলিকপ্টারযোগে ভাসানচরে অবতরণ করেন তিনি।
সুইডেনের রাজকন্যাসহ ৩৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলকে নৌবাহিনী ঘাঁটির এক নম্বর হেলিপ্যাডে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের এরিয়া কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল খন্দকার মিসবাহ-উল আজিম। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঘাঁটির অধিনায়ক কমান্ডার আনোয়ারুল কবির, শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার (ভাসানচর) মাহফুজার রহমান, ক্যাম্প ইনচার্জ মো. রফিকুল হক, নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মোর্তাহীন বিল্লাহ প্রমুখ।
অভ্যর্থনা শেষে ভিক্টোরিয়া ৬৭ নম্বর ক্লাস্টারে অবস্থিত ব্র্যাক এনজিওর স্কুল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি রোহিঙ্গাদের শিক্ষা-চিকিৎসা ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তারপর ভিআইপি গেস্ট হাউসে অবস্থান শেষে বেলা ১১ টা ৫০ মিনিটের দিকে প্রতিনিধিদল নিয়ে হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রামের উদ্দেশে তিনি ভাসানচর ত্যাগ করেন।
ভাসানচরের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার মাহফুজার রহমান বলেন, ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত সুইডেনের রাজকন্যা ভিক্টোরিয়া ভাসানচরে নেমে কীভাবে রোহিঙ্গাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয় এবং কীভাবে শিক্ষা দেওয়া হয় তার বিস্তারিত জেনেছেন। প্রায় এক ঘণ্টা তিনি এ দুইটি স্থান পরিদর্শন করেছেন। এর বাহিরে আরও কোথাও তিনি যাননি।
এ কর্মকর্তা জানান, আমাদের নৌ অ্যাম্বুলেন্স নেই। সেটি দ্রুত পাওয়ার কথা রয়েছে বলে আমরা রাজকন্যা ভিক্টোরিয়াকে জানিয়েছি।
এর আগে সকাল ৮টায় হেলিকপ্টারযোগে হাতিয়া অবতরণ করেন রাজকন্যা ভিক্টোরিয়া। সেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিতে থাকা মানুষের অনুভূতি শুনেন। তাদের জীবনযাত্রার উন্নয়নে কাজ করবেন বলে আশ্বাস দেন। এরপর ৯ টায় ৪৫ মিনিটে তিনি বুড়িরচর ইউনিয়নের পশ্চিম বড়দেইল এলাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে ভাসানচরের উদ্দেশে রওয়ানা দেন।
প্রসঙ্গত নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে নৌবাহিনী। কক্সবাজার থেকে ধাপে ধাপে এখানে প্রায় ৩৬ হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।