অর্ণব মল্লিক, কাপ্তাই (রাঙামাটি)
প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৪ ১৯:৫০ পিএম
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৪ ২০:০৮ পিএম
কাপ্তাই উপজেলার বড়ইছড়ি সদরে ঝুঁকিপূর্ণ মরা গাছের ডাল
রাঙামাটির কাপ্তাই সড়কের বড়ইছড়ি অংশের বিভিন্ন স্থানে গাছ মরে শুকিয়ে গেছে। প্রতিদিনই এ রকম মরা গাছের সংখ্যা বাড়ছে। এসব গাছ অপসারণ না করায় সড়কের ওপর ডালপালা ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এতে সড়কে চলাচলকারী পথচারীসহ বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা আতঙ্কে রয়েছে। তাদের দাবি, দ্রুতসময়ের মধ্যে গাছগুলো অপসারণ করা হোক।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বড়ইছড়ি এলাকার কর্ণফুলী কলেজের যাত্রী ছাউনির পাশে সড়কে গাছ মরে গেছে। গাছ অপসারণ না করায় গাছের ডালগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় বাতাসে ভেঙে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। কাপ্তাই সড়কের বিভিন্ন এলাকায় এমন অসংখ্য মরা গাছ রয়েছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
সড়কটিতে চলাচলকারী আব্দুর রহিম, মো. সুমন, চাতোউ মারমাসহ একাধিক চালক জানান, সড়কের বেশ কয়েকটি গাছ মরে দাঁড়িয়ে আছে। যেকোনো সময় ঝোড়ো বাতাসে ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটবে। যখন ঝড়, বৃষ্টি শুরু হয়, তখন অনেকটা আতঙ্ক নিয়ে সড়কটিতে গাড়ি চালাতে হয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার এই সড়কে গাছ ভেঙে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ঘটেছিল ছোটখাটো দুর্ঘটনাও।
স্থানীয় বাসিন্দা উত্তম দাশ, আজগর আলীসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বড়ইছড়ি বাজারে যাতায়াত করে। এমনকি স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে এই সড়ক দিয়ে। তাদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই বর্ষার আগে মরা গাছগুলো অপসারণে বন বিভাগসহ স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাই।
জানতে চাইলে বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো চিহ্নিত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। পরবর্তী সময়ে অনুমতি পেলে গাছ কিংবা গাছের ডাল অপসারণ করা হবে।’ এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) মো. মহিউদ্দীন বলেন, ‘সড়কের পাশে ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলো চিহ্নিত করে অপসারণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’