যশোর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৪ ১১:০৭ এএম
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৪ ১১:২০ এএম
গ্রেপ্তার অপহরণকারী চক্রের সাত সদস্য। প্রবা ফটো
যশোরে একটি চক্রের কয়েক সদস্য ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে দুই সবজি বিক্রেতাকে অপহরণ করে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিনতাই করে। ঘটনার চতুর্থ দিনে বুধবার (২০ মার্চ) রাতে যশোরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চক্রটির সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেন স্থানীয় ডিবি পুলিশের সদস্যরা।
জানা গেছে, শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে একটি চক্রের কয়েক সদস্য সবজি বিক্রেতা সোহাগ ও হাবিবুর রহমানকে অপহরণ তাদের থেকে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিনতাই করে। পরে তাদের কেশবপুরের একটি মাঠে ছেড়ে দেয়।
পর দিন ওই দুই সবজি বিক্রেতা যশোর পুলিশের শরণাপন্ন হন। যশোর গোয়েন্দা ডিবি পুলিশের সদস্যরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপহরণকারীদের শনাক্ত করেন। এরপর বুধবার রাতে যশোরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সাত ভুয়া ডিবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন সেট ও ছিনতাই হওয়া অর্থের ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার তেঘুরিহুদা গাজীর বাজার গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে হারুন অর রশিদ, যশোরের শার্শা উপজেলার টেংরাইল মাঝেরপাড়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে হাসান, চৌগাছা উপজেলার জগদীশপুর গ্রামের মৃত হোসেন মোহাম্মদ গফফারের ছেলে ইসতিয়াক আহম্মেদ, সদর উপজেলার খড়কি বর্মণপাড়ার হানিফের ছেলে রাশেদ হাওলাদার, শার্শার নাভারণ রেলবাজার এলাকার মৃত আবদুল মোতালেবের ছেলে সোহেল আহম্মেদ বাবু, একই উপজেলার গোগা গাজিপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে উজ্জল হোসেন ও বেনাপোল পুটখালী রাজগঞ্জ এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে হাফিজুর রহমান।
যশোর জেলা গোয়েন্দা ডিউটি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রুপণ কুমার সরকার বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই অপহরণকারী চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীদের অপহরণ করে টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করে আসছিল।
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ওই দুই ব্যবসায়ী শনিবার ঢাকা থেকে সবজি বিক্রি করে যশোর চাচড়া তরিকুল ইসলাম শাহিনের দোতলা ভবনের সামনে নামেন। এরপর একটি মাইক্রোবাস ডিবি পরিচয়ে তাদের উঠিয়ে নেয়। টাকাপয়সা কেড়ে নিয়ে তাদের কেশবপুরের একটা ফাঁকা মাঠে ছেড়ে দেয়। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাদের শনাক্ত করা হয়। এরপর বুধবার জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আদালতে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।