রূপগঞ্জে ‘শ্রাবণ বাহিনী’র হামলায় মৃত্যুশয্যায় ব্যবসায়ী

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ‘শ্রাবণ বাহিনী’ নামে পরিচিত একটি কিশোর গ্রুপের সদস্যরা হামলা চালিয়ে দুই যুবককে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায় রয়েছেন। এ ঘটনায় ওই যুবকের ভাই বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রূপগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

বাদী রবিউল ইসলামের অভিযোগ, গত রবিবার রাতে তার ছোট ভাই রকি বন্ধু জয়কে নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা নিয়ে ফেরার পথে উপজেলা তারাব সুলতানা কামাল ব্রিজে তাদের ওপর হামলা হয়। শ্রাবণ বাহিনীর সদস্যরা তাদের ওপর এই হামলা চালায়।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাদী রবিউল ইসলাম বলেন, তার ছোট ভাই রকি ইসলামপুরে কাপড়ের পাইকারী ব্যবসা করেন। গত (১৭ মার্চ) রবিবার রাতে ব্যবসার প্রায় দেড় লাখ টাকা নিয়ে রকি তার বন্ধু জয়কে নিয়ে ইসলামপুর থেকে মোটরসাইকেলে করে তারাবে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। তারাব সুলতানা কামাল সেতুতে উঠলে কিশোর গ্যাংয়ের অন্যতম সদস্য শ্রাবণ, বাধন, হৃদয়, সাজ্জাদ, মেহেদী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রকিদের মোটরসাইকেল গতিরোধ করে। সেখানে রকি ও তার বন্ধু জয়কে এলোপাতাড়ি মারধর করেন অভিযুক্তরা। এর মধ্যে রকিকে কুপিয়ে তার কাছে থাকা দেড় লাখ টাকা ও তাদের দুটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। পরে স্থানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। রকির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় রকির বড় ভাই জয় আজ বৃহস্পতিবার রূপগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। জয়ের দাবি, এই অভিযোগ দেওয়ার পর হামলাকারীরা তাকে ও তার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্থানীয় বলেন, এলাকায় শ্রাবণ গ্রুপ এক আতঙ্কের নাম। এই বাহিনীর প্রধান তারাব হাটিপাড়ার ‘কুত্তা মাসুদের’ ছেলে শ্রাবণ। শ্রাবণ নিজের প্রভাব বিস্তারের নেশায় এলাকায় গড়ে তুলেছেন কিশোর গ্যাং গ্রুপ। এই গ্রুপে ২০ জনের মতো সদস্য। তাদের মধ্যে কয়েকজন হলেন বাঁধন, হৃদয়, মেহেদী, মাহাদী, সাজ্জাদ।

এসব বিষয়ে অভিযুক্ত শ্রাবণের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’