শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৪ ১৭:৪১ পিএম
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৪ ১৮:০১ পিএম
হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এক বনরক্ষী। প্রবা ফটো
সুন্দরবনের অভায়রণ্যে মাছ ধরতে না দেওয়ায় বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদ হাওলাদারের নেতেৃত্বে বনরক্ষীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান, বনকর্মী মতিউর রহমান ও স্পিডবোট চালক সিরাজুল ইসলাম গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
বৃহস্পাতবার দুপুরে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ সংলগ্ন খুড়িয়াখালী বাজারের খেয়াঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে শরণখোলা থানায় মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় পুলিশ শুক্রবার (২২ মার্চ) একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখ মাহাবুব হাসান বলেন, শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান হাওলাদার ও সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফা সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে মাছ ধরার জন্য তাকে চাপ প্রয়োগ করে আসছিলেন। কিন্তু তাদের এই অনৈতিক দাবি না মানলে তাকেসহ বনরক্ষীদের বিভিন্ন সময় হুমকি দেন। একপর্যায়ে বৃহস্পাতবার দুপুরে আন্তর্জাতিক বন দিবস পালন শেষে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিমকে এগিয়ে দিতে শরণখোলা রেঞ্জ সংলগ্ন বাজারের খেয়াঘাটে গেলে আসাদুজ্জামান হাওলাদার ও সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফার নেতৃত্বে ১০-১২ জন তাদের ওপর অর্তকিত হামলা চালায়। হামলায় তারা তিনজন গুরুতর আহত হন।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় বন বিভাগের বগী স্টেশন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে মো. আসাদ হাওলাদার, সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফা, মাসুদুর রহমান রনি, আমির হাসান চয়ন, মো. জসিমসহ আরও ৭-৮ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। মামলার আসামি মো. জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি অসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আসাদ হাওলাদারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মামলার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। তার মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রায়হান উদ্দিন আকন শান্ত বলেন, একজন কর্মকর্তাসহ বনরক্ষীদের মারধর; এটি খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এ ঘটনায় জড়িত যেই হোক, তাদের আইনের আওতায় শাস্তি পেতে হবে।