নারায়ণগঞ্জ
এম আর কামাল, নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৪ ১৪:৩০ পিএম
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৪ ১৫:১৫ পিএম
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ফগার মেশিন দিয়ে মশা কমানোর চেষ্টা। প্রবা ফটো
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) এলাকায় বেড়েছে মশার উৎপাত। ঘরে-বাইরে কোথাও রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না মশার কামড় থেকে। মশার কামড়ে হাত-পা ফুলে যায়। ফলে মশাবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন নগরবাসী। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। নগরবাসী অতিষ্ঠ হলেও নাসিকের তেমন মাথাব্যথা নেই বলে অভিযোগ। তবে নাসিক কর্তৃপক্ষ বলছে, মশা নিধনে নিয়মিত কার্যক্রম চলছে।
নগরীর গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা মিনারা আক্তার। নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে গত বৃহস্পতিবার ৯ বছরের ছেলে মনাকে নিয়ে এসেছেন। গত তিন দিন ধরে জ্বরে ভুগছে সে। কিছুতেই জ্বর নামছে না। সন্দেহ করা হচ্ছে ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে ছেলেটির। মিনারা আক্তার বলেন, ‘মশার কামড়ে হাত-পা ফুলে উঠছে। সারাক্ষণ কানের কাছে গুনগুন করছে। কয়েল, স্প্রেতে কাজ হয় না। এত মশা আগে দেখিনি। গত এক সপ্তাহে ব্যাপক হারে বেড়েছে। ছেলের জ্বর যাচ্ছে না।’
দেওভোগ ভূঁইয়ারবাগ এলাকার বাসিন্দা মো. কবির বলেন, ‘মশার কামড়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। পরিবারের অনেকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলে গেছে। হাত-পা জ্বালাযন্ত্রণা করছে। মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি আমরা। সিটি করপোরেশন শুধু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সড়কেই ওষুধ ছিটায়। এতে মশা মরে না।’
একই কথা জানালেন নগরীর আমলাপাড়া, প্রেসিডেন্ট রোড, গলাচিপা, পাইকপাড়া, নিতাইগঞ্জ, দেওভোগ, বাবুরাইল, জল্লারপাড় ও মাসদাইর এলাকার বাসিন্দারাও। তারা জানান, মশার কামড়ে দিশাহারা। দিনরাত সমান তালে কামড়াচ্ছে। দরজা-জানালা বন্ধ রাখলেও নিস্তার মিলছে না। সবসময় মশারি টানিয়ে রাখতে হয়। বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হচ্ছে। কারণ শিশুদের বাসায় আটকিয়ে রাখা যায় না। বাসায় থাকলেও সারাক্ষণ হাত-পায়ে মশার কামড়ে চিৎকার চেঁচামেচি করেন। বাইরেও একই অবস্থা। কোথাও দাঁড়ানো কিংবা বসা যায় না।
সিটি করপোরেশন বলছে, মশার উপদ্রব বাড়লেও নিয়ন্ত্রণে কাজ চলছে। নিয়মিতই ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। তবে নগরবাসী বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় মশার ওষুধ ছিটানো হয়। তাও নিয়মিত নয়। ওষুধের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা তদারকি করছেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ জানাচ্ছি। এ ছাড়া মশা নিধনে নগরবাসীকেও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।