প্রতিদিনের বাংলাদেশে সংবাদ প্রকাশ
বান্দরবান প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৪ ১৭:৪৫ পিএম
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৪ ১৭:৫৬ পিএম
লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নে লেমুপালং খালে বনবিভাগের অভিযানে আটক হাতি এবং জব্দকৃত বনের গাছ। প্রবা ফটো
প্রতিদিনের বাংলাদেশে প্রতিবেদন প্রকাশের পর লামা উপজেলায় দুর্গম এলাকায় বন খেকোদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে লামা বনবিভাগের একটি দল। শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল থেকে দিনভর লামা উপজেলা সরই ইউনিয়নের দুর্গম এলাকা লেমুপালং খাল ও শিলাঝিরি এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় বনের গাছ টানার কাজে ব্যবহৃত একটি পোষা হাতি আটকসহ দেড়শতাধিক বনের গাছ জব্দ করা হয়েছে।
লামা বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. আরিফুল হক বেলাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বনের গাছটানা কাজে ব্যবহৃত একটি পোষা হাতি আটক করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনাকারীরা এখনও ফিরেননি। এলাকাটি দুর্গম, নেটওয়ার্ক বিহীন, তাই এখনই বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। আটক হাতিটি ডুলহাজরা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে রাখা হবে।’ এ ব্যাপারে নিয়মিত মামলাসহ অন্যান্য আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ডলুছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘দুর্গম এলাকা লেমুপালং খাল ও শিলঝিরি এলাকায় বনবিভাগ অভিযান পরিচালনা করে একটি পোষা হাতি ও ১৪৯ টুকরা বনের গাছ জব্দ করা হয়েছে। এব্যাপারে আদালতে নিয়মিত মামলা করা হবে।’
এর আগে গত ২১ মার্চ প্রতিদিনের বাংলাদেশসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। জানা যায়, জেলা শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে সরই ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ড লেমু পালং মৌজার লাংগি পাড়া, বাক্কা পাড়া, পুরোনো দেওয়ান পাড়া ও নতুন দেওয়ান পাড়া এলাকায় প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে (জানুয়ারি থেকে মে) পানি কমে গেলে এই খাল ও ঝিড়ির ওপর দিয়ে হাতি দিয়ে বনের গাছ টানা হয়। বর্তমানে ইউসুফ বাহাদুর নামের একটি হাতি দিয়ে গাছ টানা হচ্ছে।
এলাকাবাসীরা জানান, লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ক্যজু পাড়া থেকে লোহাগাড়া আমিরাবাদ সড়ক দিয়ে এসব গাছ পাচার করা হচ্ছে। লোহাগাড়া উপজেলা যুবলীগের নেতা মোরশেদ আলম চৌধুরী এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। তিনি এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত। বাড়িঘর তৈরি করার জন্য বন থেকে গাছ কাটতে চাইলেও মোরশেদ আলম চৌধুরীর কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। তিনি সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তাই তার ভয়ে এলাকার কোনো মানুষ প্রতিবাদ করতে পারে না।
অভিযুক্ত লোহাগাড়া উপজেলা যুবলীগ নেতা মো. মোরশেদ আলম চৌধুরী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, আটক পোষা হাতি ও জব্দকৃত বনের গাছ তার নয়।