ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) সংবাদদাতা
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৪ ১১:৩৪ এএম
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৪ ১১:৪৬ এএম
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ফুটপাথ ও সার্ভিস রোড দখলে নিয়ে দেদার চলছে ভাঙ্গারি ব্যবসা। প্রবা ফটো
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ফুটপাথ ও সার্ভিস রোড দখলে নিয়ে দেদারসে চলছে ভাঙ্গারি ব্যবসা। এতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। ঝুঁকি নিয়ে তাদের মহাসড়ক দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। অভিযানের পর আবার দখল হয়ে যায় বলে দাবি পুলিশের।
কালিয়াকৈর উপজেলার অন্যতম ব্যস্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টপস্টার ও কলেজ গেট এলাকা। গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তার পরই সবচেয়ে বেশি পথচারী ও যানবাহন চলাচল করে এই এলাকা দিয়ে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এখানেই ফুটপাথ ও সার্ভিস রোডে ভাঙ্গারি দোকানের মালামালসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন পার্কিং করে দখল করে রেখেছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। ফলে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও শ্রমজীবীসহ হাজারো শ্রেণি-পেশার মানুষের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তিন চাকার ছোট যানবাহন সার্ভিস রোড ব্যবহার করতে না পারায় ঝুঁকি নিয়েই মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করছে। মাঝে মাঝে ঘটছে ছোট-বড় নানা ধরনের দুর্ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, নামমাত্রই অভিযান চললেও দখলদারিত্ব থেকে মুক্তি পাচ্ছে না ফুটপাথ ও সার্ভিস রোড।
কোনাবাড়ী ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী তাসফিয়া জাহান শিমু বলেন, ভাঙ্গারি মালামাল রেখে ব্যবসায়ীরা ফুটপাথ দখল করে রেখেছে। আমরা বাধ্য হয়েই মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করি। এ নিয়ে আমরা একাধিকবার আন্দোলন করলেও সুরাহা হয়নি। ফুটপাথ মুক্ত হয়নি। ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীদের কাছে আমরা জিম্মি।’
অটোরিকশাচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘মহাসড়কের দুপাশের সার্ভিস রোডটি তিন চাকার যানবাহন চলাচলের জন্য বানানো হয়েছে। অথচ সার্ভিস রোডটিতে মালামাল পরিবহনের জন্য ট্রাক এবং ভাঙ্গারি মালামাল রেখে দখল করে রেখেছে। বাধ্য হয়ে আমাদের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।’
শিউলি আক্তার নামে একজন নারী শ্রমিক বলেন, ‘আমাদের দুর্ভোগ দেখার কেউ নাই। দিনে চারবার বাসা থেকে কারখানায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ফুটপাথের পরিবর্তে মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। ভাঙ্গারি মালামাল রেখে ফুটপাথ দখলে রেখেছে ব্যবসায়ীরা। প্রতিবাদ করলে শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়।’
ফুটপাথে কেন ভাঙ্গারি মালামাল রেখেছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে রজব আলী নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘এখানকার সব দোকানের মালামাল ফুটপাথ ও রাস্তায় রাখে, তাই আমরাও রাখি।’ আরেক ব্যবসায়ী রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রতিদিন কয়েক টন ভাঙ্গারি মালামাল কেনা-বেচা করি। স্থান স্বল্পতার কারণে কিছু মালামাল রাস্তায় থাকে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা এমনি এমনি ফুটপাথ ও সার্ভিস রোড দখলে নিয়ে ব্যবসা করছি না। এলাকার পাতি নেতা থেকে শুরু করে পুলিশকেও টাকা দিতে হয়।’
জানতে চাইলে নাওজোর হাইওয়ে থানার ওসি শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘প্রতিনিয়ত আমরা অভিযান পরিচালনা করে আসছি। অভিযান শেষে আবার ফুটপাথ দখল করে নেয়। দখলদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’ এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে কারো মোবাইল ফোনেই সংযোগ পাওয়া যায়নি।