নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৪ ১১:৫৯ এএম
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৪ ১৩:৩০ পিএম
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল হক ওরফে কাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। প্রবা ফটো
কখনও চালক আবার কখনও হেলপার। এভাবেই ছদ্মবেশে ১৪ বছর পলাতক ছিলেন নোয়াখালীর কবিরহাট থানার হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল হক ওরফে কাদের। অবশেষে শনিবার (২৩ মার্চ) রাতে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানার বিটেক মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আব্দুল হক নোয়াখালীর সদর উপজেলার সুধারাম থানাধর ধর্মপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
র্যাব-১১ সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল হক ও তার বাবা ছেরাজল হক সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০০৯ সালে রুহুলকে হত্যা করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে নোয়াখালী জেলার কবিরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। কবিরহাট থানার তদন্তকারী অফিসার সাক্ষ্যপ্রমাণে আসামিদের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ পায়। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট প্রদান করে। আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ৩০২/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ২০১০ সালে আসামি আব্দুল হক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। রায় ঘোষণার পর থেকে আত্মগোপনে ছিল আব্দুল হক।
র্যাব-১১ সিপিসি-৩ নোয়াখালীর স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আসামি কখনও চালক আবার কখনও হেলপার হিসেবে ১৪ বছর আত্মগোপনে ছিল। র্যাব-১১, সিপিসি-৩ ও র্যাব-৭ এর যৌথ আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। আসামির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে কবিরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।